News update
  • IsDB Group Business Forum Drives Sustainable Investment at WIC     |     
  • 163 bank accounts in Nayeemul Islam Khan's family      |     
  • Commonwealth to send election observers: Khosru     |     
  • UD case filed over Metrorail bearing pad victim at Farmgate     |     
  • One killed, 5 injured in gunfight between groups in Natore     |     

সমাবেশের মাধ্যমে 'নেতাকর্মীদের সংগঠিত হওয়া' বড় অর্জন মনে করছে বিএনপি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2022-12-02, 3:46pm




বিভাগীয় গণসমাবেশ কর্মসূচি দিয়ে বাংলাদেশে বিএনপির রাজনীতি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। চট্টগ্রাম থেকে যে বিভাগীয় গণসমাবেশ কর্মসূচী বিএনপি শুরু করে সেটি শেষ হবে ঢাকায় ১০ই ডিসেম্বর সমাবেশের মধ্য দিয়ে।  

বিএনপির মূল্যায়নে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার বিরোধী আন্দোলনে গরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবারের কর্মসূচি।    

দ্রব্যমূল্য, তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি ইস্যু নিয়ে বিএনপি সারাদেশে গণসমাবেশ শুরু করে। দলের বিভিন্ন স্তরে এর ভিন্ন ভিন্ন মূল্যায়ন হচ্ছে।

সার্বিকভাবে বিএনপি বলছে এবারের কর্মসূচি থেকে তারা আশাতীত  জনসমর্থন এবং সাড়া পেয়েছে।  একই সাথে এই বিভাগীয় কর্মসূচির মাধ্যমে তৃনমূল থেকে কেন্দ্র-সর্বস্তরে দলীয় নেতা কর্মীরা আরো সক্রিয় এবং উজ্জীবিত হয়েছে।

এছাড়া মাঠ পর্যায়ে সাংগঠনিকভাবে দল আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়েছে বলেই মূল্যায়ন করছে বিএনপি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে  চলমান গণসমাবেশ কর্মসূচীর সম্পর্কে এক কথায় বলেন, ‘অভূতপূর্ব জনসমর্থন এবং আমাদের নেতাকর্মীদেরই শুধু সাহস বাড়েনি সাধারণ জনগণেরও সাহস বেড়ে গেছে।’

বিএনপির সাংগঠনিক বিভাগগুলোর প্রতিটি সমাবেশেই বিপুল লোকসমাগম হয়েছে। গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে।

এছাড়া বিএনপির বিভাগীয় কর্মসূচীগুলো স্থানীয় পর্যায়ে এবং গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক প্রচার পেয়েছে।

 বিএনপির মানবাধিকার কমিটির সদস্য ফারজানা শারমিন পুতুল বলেন,  এ সমাবেশগুলোর মাধ্যমে জনগণের কাছে বিএনপি তাদের রাজনৈতিক বার্তা সফলভাবে পৌঁছে দিতে পেরেছে।

‘বিএনপি যে এজেন্ডাগুলো নিয়ে মাঠে আছে  এটার সাথে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ কানেকটেড, এটা হচ্ছে আমাদের সবচে বড় এচিভমেন্ট আমাদের। এবং বিএনপি যে সাধারণ জনগণের যে দাবিগুলো নিয়ে মাঠে আছে  এটা যৌক্তিক দাবি এটা তুলে ধরতে পেরেছে। দেশে বিদেশে সবাই এটা জানে এখন। ’

ফারজানা শারমিন মনে করেন বর্তমান সরকারের আমলে এটি দলের অন্যতম সফল একটি রাজনৈতিক কর্মসূচী।

এ কর্মসূচীর মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকারকে একটি রাজনৈতিক বার্তাও দিতে পেরেছে বিএনপি।

‘অনেকে বলেছে যে বিএনপির সাথে জনগণ নেই, বিএনপি হাটু ভাঙ্গা দল,  কোমর ভাঙ্গা দল। এ সমাবেশগুলো হলে তার এক একটা উত্তর। আজকে ১৪ বছরে বিএনপির একটা সমর্থক, একটা ভোটার একটা কর্মীকে কিন্তু নড়ানো যায় নাই।  এই প্রত্যেকেটা সমাবেশেই সেই জিনিসগুলোই ফুটে উঠেছে। সেই চিত্রগুলোই আমরা দেখেছি সবসময়। এবং এটা সত্য যে আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে আমরা বেশি পেয়েছি।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বিভাগীয় কর্মসূচীর মূল্যায়ন করে বলেন, নানারকম বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণেই এসব কর্মসূচী সফল হয়েছে।

সেলিমা রহমান মনে করেন, আগামী দিনে সরকার বিরোধী আন্দোলনে সফল করতে এবারের কর্মসূচী গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।  

 ‘এখানে কিন্তু শুধু বিএনপি একা আসেনি। সাধারণ জনগণ নেমে এসেছে। বিএনপির সবচে বড় অর্জন হলো আমাদের নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়েছে। এখন যেভাবে জনগণ যেভাবে জেগে উঠেছে।  এবং আমরা যদি এক থাকতে পারি ঐক্যবদ্ধ যেটা এখন হয়েছি। এই ঐক্যবদ্ধতাই কিন্তু আগামী দিনে আন্দোলনের সফলতা নিয়ে নিয়ে আসবে।’

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ কর্মসূচী শেষ হবে ঢাকায় দশ ডিসেম্বর সমাবেশের মধ্য দিয়ে।

সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা তাকিয়ে আছে ঢাকার সমাবেশ থেকে কী ধরনের কর্মসূচী বা ঘোষণা আসে।

যেহেতু বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন যে নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোই হবে বিএনপির আগামী দিনের আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য, তাই বিএনপি ঢাকা সমাবেশে নতুন কী আন্দোলন কর্মসূচী দেয়া হয় সেটি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও বেশ আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

তবে ১০ই ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশ থেকে কী কর্মসূচী বা ঘোষণা আসবে সেটি এখনই প্রকাশ করছে না বিএনপি।

‘যেহেতু সর্বশেষ তাই এখান থেকে নতুন কর্মসূচী দেয়ার চিন্তা আমাদের আছে। সেই নতুন কর্মসূচী এবং নতুন দাবি নিয়ে আমরা আসবো। এবং নিঃসন্দেহে আমরা এতদিন ধরে যে কথাগুলো বলে আসছি সেগুলোর প্রতিফলন আপনারা দেখতে পাবেন।  জাতীয় ঐক্যের কথা আমরা বলেছি। আমরা অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা বলেছি, বলছি এখনো। সেগুলোর প্রতিফলনও আপনারা আমাদের দশ তারিখের যে গণসমাবেশ সেখান থেকে আপনারা দেখতে পাবেন।’

ঢাকা সমাবেশের প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবিসিকে এ কথা বলেন।

বিএনপি বলছে বিভাগীয় গণসমাবেশগুলো একক দলীয় কর্মসূচী হলেও ভবিষ্যতে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে রাজপথে যুগপৎ আন্দোলন শুরু হবে। আর সে আন্দোলনে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিটিই হবে প্রধান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, ‘আমাদের পুরো মুভমেন্টটা, দাবিটা এখন হচ্ছে আপনার ফোকাসড টুয়ার্ডস কেয়ারটেকার গর্ভমেন্ট, নাথিং এলস।’ তথ্য সূত্র বিবিসি বাংলা।