WhatsApp Image - Saiful Huq, Coordinator, Platform for Democracy, addressing a Road March rally at Sirajganj on Monday.
আজ সন্ধ্যায় বগুড়ার মোকামতলায় গণতন্ত্র মঞ্চের রোড়মার্চের সমাবেশ শেষে রোড়মার্চের গাড়ীবহরে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে এ সন্ত্রাসী হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করা হয়েছে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠক আইয়ুব আলী, ওসমান গনি ও গাড়ির ড্রাইভার শাখাওয়াত আহত হয়েছেন। বহরের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের এক নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে সোমবার সন্ধ্যায় এ খবর জানানো হয়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চের রোড়মার্চ সিরাজগঞ্জ অতিক্রম করে সন্ধ্যায় বগুড়া পৌছায়।
সিরাজগঞ্জে আয়োজিত সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, গদি হারানোর আতংক থেকে সরকার ও সরকারী দল রোড়মার্চে বাঁধা দিচ্ছে, উসকানি সৃষ্টি করছে। তারা বলেন, সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে: এই কারণে সরকারের নীতিনির্ধারকেরা অসংলগ্ন আচরণ করছে।
সিরাজগঞ্জ শহরে গণতন্ত্র মঞ্চের পূর্ব নির্ধারিত স্থানে পুলিশ সমাবেশের অনুমতি না দেয়ায় শহরের বাইরে ঢাকা - বগুড়া মহাসড়কের পাশে হাটিকুমডুলে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল - জেএসডির সহ সভাপতি সানোয়ার হোসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, নাগরিক ঐক্য এর সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল - জেএসডি'র সাংগঠনিক সম্পাদক মনির উদ্দিন মাস্টারসহ গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। গণতন্ত্র মঞ্চের সিরাজগঞ্জের নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে মঞ্চের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, গদি হারানোর আতংক ও নার্ভাস থাকার কারণে সরকার ও সরকারি দল রোড়মার্চের মত শান্তি পূর্ণ কর্মসূচীতেও বাঁধা দিচ্ছে, নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। তিনি বলেন সকল ধরনের উসকানি মোকাবেলা করে রোড়মার্চের কাফেলা এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, দিন শেষ হয়ে আসছে বলেই সরকারের নীতিনির্ধারকেরা অসংলগ্ন আচরণ করছে। তিনি বলেন, সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ সংসদ বিলুপ্তি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পথ পরিস্কার করলে দেশ এই সংকট থেকে বেরিয়ে আদতে পারে। সরকার এই পথে না হাটলে গণ সংগ্রামের পথে সরকারকে অল্পদিনের মধ্যে লজ্জাজনক ভাবে বিদায় নিতে হবে।
জোনায়েদ সাকি বলেন,, আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে দেশ আর জনগণ কোনভাবেই আর নিরাপদ নয়। তিনি বলেন,দেশকে আরও সর্বনাশের নিয়ে যাওয়ার আগেই এই সরকারঅকে বিদায় দিতে হবে। তিনি বলেন, গনআন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে এবার আমরা পদত্যাগে বাধ্য করব। তিনি বলেন এবারকার আন্দোলন সরকার ও গোটা স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা পরিবর্তনের। এইলক্ষ্যেই গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা থেকে দিনাজপুর অভিমুখে এই পদযাত্রা। রোড়মার্চ সফল করতে তিনি দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
শেষ রফিকুল ইসলাম বাবলু মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর শিক্ষায় অনুপ্রানিত হয়ে বর্তমান জালেমশাহীর বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার আহবান জানান।
এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, সরকার বদলের পাশাপাশি গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার করতে হবে। তা না হলে এই রাষ্ট্রকেও রক্ষা করা যাবেনা।
এর আগে সকাল নেতৃবৃন্দ সিরাজজগঞ্জে প্রেসব্রিফিং করেন এবং রোড়মার্চে কোন উসকানি সৃষ্টি না করার জন্য সরকার ও সরকারি দলের প্রতি আহবান জানান। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি