Amur Khashru Mahmud Chowdhury, member, BNP Standing Committee, addressing a discussion meeting of Bangladesh Jatiyatabadi Sangritik Dal on Saturday Sept 16 2023.
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জনগণের চিন্তার প্রতিফলন হচ্ছে সংবিধান। ক্ষ্মতাশীনরা একতরফাভাবে সংবিধান নিয়ে যা করেছেন তা জনগনের ইচ্ছার প্রতিফলন নয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মঈনুদ্দিন-ফখ্রুদ্দিনের কারাগার থেকে মুক্তির ১৫তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষনে তিনি বলেন সংবিধান সংশোধন করতে জনগনের কাছ থেকে ম্যান্ডেট নিতে হয়, তার জন্য ঐক্যমত লাগে। ১৯৯৬ সালে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার ত্রয়োদশ সংশোধনী বিএনপির নেতৃত্বে পাশ হয় যখন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের দুই বছরের আন্দোলনের পর এবিষয়ে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ৩য় তলায় স্বাধীনতা হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত “সংকট সমাধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নাই” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারী’র সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক মুস্তফা কামাল মজুমদার, বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, সাবেক সংসদ সদস্য ওমর ফারুক, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম আহমেদ খান মন্টু, পল্টন থানা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সংগ্রাম প্রমুখ।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন এখন দেশ চলছে একতরফাভাবে। সংবিধানের একতরফা সংশোধনীর পর আইন করা হয়েছে এই সংবিধানের এক-তৃতীয়াংশ কখনো সংশোধন করা যাবে না। বিচারকগন সংবিধান ও আইনের রক্ষক হিসেবে কাজ না করে রাজনীতিবিদ এবং প্রসাশকের ভূমিকা পালন করছেন। ৫০ লাখ বিরোধী রাজনৈতিক কর্মির বিরুদ্ধে ভূঁয়া, বানোয়াট মামলা চলছে। কোন বিচারপতি এবিষয়ে একটা প্রশ্নও তোলেননি। প্রশাসন একদলীয়ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তাই জনগন ঐক্যদ্ধ হয়েছে রাষ্ট্র মেরামত করার জন্য।
এসরকার ন্যয্য দাবিগুলো মেনে না নিয়ে একদলীয় শাসন পাকাপোক্ত করার এবং আরেকটি ভূঁয়া নির্বাচন অনুষ্ঠেনের পায়তারা করছে। আর পাতানো নির্বাচন মানুষ হতে দেবেনা।
তিনি বলেন বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে বিচার ব্যবস্থাকে ও প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে এবং যা ইচ্ছা তাই করছে। এই অবস্থায় একটি দেশ চলতে পারে না। তিনি বলেন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাজার রায় ছিল বর্তমান সরকারের পূর্বপরিকল্পিত। বেগম জিয়াকে রাজনীতি এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখাই ছিল সরকারের লক্ষ্য।
আব্দুস সালাম বলেন, বর্তমান প্রধান মন্ত্রী দেশের নেতা না হয়ে আওয়ামী লীগের নেতার মত কাজ করে চলেছেন। বহুদলীয় রাজনীতিতে তারা বিশ্বাস করেননা এটা তারা বারবার প্রমান করেছেন। দেশে গনতন্ত্র, মানবাধিকার নেই। লুটপাটের জন্য অর্থনীতি পর্যুদস্ত। মানুষ অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিচার পাচ্ছেনা। তাই সকল বিরোধী দল আজ গনতন্ত্র পূনপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ঐক্যবাদ্ধ।
মোস্তফা কামাল মজুমদার বলেন রাষ্ট্রের তিন স্তম্ভ, নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগগুলো একদলীয় আদলে চলার কারণে বিপর্যস্ত। চতূর্থ স্তম্ভ গনমাধ্যমকেও ভিন্নমত প্রকাশের অনোপযোগী করে ফেলা হয়েছে। ভিন্ন মতের পত্রিকা ও মিডিয়া একে একে নিষিদ্ধ করে মানুষের বাক স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করা হয়েছে। অন্যদিকে সরকার পক্ষীয় অসংখ্য পত্রিকা ও মিডিয়া সৃষ্টি করে দেশে একটা একদলীয় পরিবেশ তৈরী করা হয়েছে, যা গনতন্ত্রের সাথে যায়না।
খায়রুল কবির খোকন বলেন, ইউরপিয়ান পার্লামেন্ট এদেশে গনতন্ত্র ও মানবাধিকার লংঘনের নিন্দা করায় সরকারি দল বলছে বিদেশিরা বিএনপির ভাষায় কথা বলছে। তারা যে অন্যায় করে চলেছে তার প্রতিকার দূরে থাক এরজন্য এমনকি ভুল স্বীকার বা ক্ষমা চাওয়া কোনটিই করেনি। তাই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করার জন্য মানুষ বদ্ধপরিকর।