News update
  • 3 killed, 10 injured in Pabna Bus-truck collision     |     
  • UN Chief Appalled as Gaza Crisis Deepens, Aid Blocked     |     
  • Dhaka’s air quality ‘moderate’ also on Friday morning     |     
  • Russia 1st country to recognize Taliban rule in Afghanistan     |     
  • New report seeks reforms for free, pluralistic media in BD     |     

তামাশার নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে - গণতন্ত্র মঞ্চ

২১ ও ২২ ডিসেম্বর দেশব্যাপী গণসংযোগ, ২৩ ডিসেম্বর গণমিছিল

রাজনীতি 2023-12-21, 12:01am

ganatantra-manch-leaders-at-a-rally-in-dhaka-on-wednesday-20-dec-2023-02f687d8659a51d69df519ea1067d88b1703095311.jpeg

Ganatantra Manch leaders at a rally in Dhaka on Wednesday 20 Dec 2023.



২০ ডিসেম্বর ২০২৩, বুধবার সকাল ১১:৩০ এ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোল একতরফা নির্বাচন ও পরিকল্পিত সহিংসতার প্রতিবাদে’ সমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। সমাবেশে ব্ক্তব্য রাখেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- (জেএসডি)-র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন। সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আবু হাসান টিপু। সমাবেশ শেষে একটা মিছিল তোপখানা রোডে এসে শেষ হয়।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার নির্বাচন বিরোধীতা বন্ধ করার নামে বিভিন্ন এজেন্ট দিয়ে নাশকতা তৈরী করে তার দায় বিরোধী দলের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। এর প্রধান লক্ষণ হছে ট্রেনে আগুন লাগার পর কোনোরকম তদন্ত না করেই পুলিশ প্রধান বলেছেন আন্দোলনকারীরা এ কাজ  করেছে। যেখানে আগুন লাগার পরেও না থামিয়ে ট্রেন ১২ কি:মি: চলেছে, সেটার তদন্ত না করে এ কথা বলা নিশ্চিতভাবেই উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করছি। 

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সিন্ডিকেট আছে সেটা সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী স্বীকার করেছেন। এবং বলেছেন সিন্ডিকেট ধরা যাবে না তাহলে জিনিসের দাম আরো বাড়বে, তার অর্থ এই সিন্ডিকেটই  সরকারকে  শক্তি যোগায়। ব্যাংকসহ পুরো অর্থনীতি সিন্ডিকেটের কবলে। এই লুটেরা সিন্ডিকেট নিজেদের স্বার্থে সরকারকে টিকিয়ে রাখছে।যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো অবস্থা তৈরী করে মানুষের জীবনকে অনিরাপদ করা হয়েছে। আগুন লাগিয়ে মানুষ হত্যা করে বিরোধী আন্দোলনে কালিমা লিপ্ত করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন নৌকায় ভোট পরবে ৭০ শতাংশ তার মানে সরকার ৭০ শতাংশ ভোট দেখাবে। জনগণ এই একতরফার তামাশার নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে বলেই উনারা আগে থেকেই এসব মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। 

নেতৃবেন্দ বলেন, ভোট হবে এটা রেডিও টেলিভিশন বলে, মানুষ বলে না। ভোট কেমন হচ্ছে তা জিএম কাদেরকে জিজ্ঞেস করেন। ভিক্ষার চালের ভোট তিনি করবেন না বলে সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন। সরকারের ছায়ায় থাকা বিরোধীদল যখন এ কথা বলে তখন নির্বাচন কেমন হবে তা জনগণের কাছে অত্যান্ত পরিষ্কার।

নেতৃবৃন্দ আরো  বলেন, মিছিল মিটিং এর অধিকার হরণ করে প্রহসনের নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়া যাবে না। অবিলম্বে তামাশার তফসিল স্থগিত এবং পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।

পরবর্তী কর্মসূচি: নেতৃবৃন্দ আগামী ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও বর্জনের ভেতর দিয়ে সরকারের বিদায় নিশ্চিত করতে সরকারকে অসহযোগিতা করার জন্য দেশবাসীকে আহবান জানায়। 

এইলক্ষে, আগামী ২১ ও ২২ ডিসেম্বর দেশব্যাপী গণসংযোগ, ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে গণমিছিল। 

গণমিছিল শেষে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির এক সভায় কর্মসূচি ঠিক করা হয়।