Bangladesh Muslim League organised a visit to the mazar of Nawab Sir Salimullah marking his 109th death anniversary on Tuesday 16 Jan 2024.
১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পর মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে ১৯০৬ সালে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ গঠন এবং পূর্ববঙ্গের অনগ্রসর জনগণকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার মানসে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা না হলে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করা খুবই কঠিন ছিল। বরং বাংলাদেশকে আজ ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য হিসেবে কাশ্মীরের ভাগ্য বরন করতে হত। স্বাধীনতা অর্জনের সোপান তৈরির প্রতিটি ক্ষেত্রে নবাব সলিমুল্লাহর অবদান অনস্বীকার্য; তিনি ছিলেন উপমহাদেশে মুসলিম রাজনীতির প্রাণপুরুষ। তাই এটাই স্বতঃসিদ্ধ যে, মুসলিম লীগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে খাজা সলিমুল্লাহই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মূল রূপকার এবং স্বপ্ন-পুরুষ। অথচ আজকে ইতিহাস থেকে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ'র নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে।
অকৃতজ্ঞদের অনেকেই এখন বলার চেষ্টা করেন নবাব সলিমুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জমি দান করেছেন এরকম কোন প্রমাণ নেই। তার জন্ম-মৃত্যু দিবসে তাকে যথোপযুক্ত ভাবে স্মরণ না করা সবই এ ষড়যন্ত্রের অংশ। ইচ্ছে করলেই নবাব সলিমুল্লাহর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। তিনি মুসলিম জাতিসত্তা চেতনা, উপমহাদেশে মুসলমানদের রাজনৈতিক ও শিক্ষা সচেতন করার কর্মকাণ্ডের মাঝেই আজীবন বেঁচে থাকবেন। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রাম আর আধিপত্যবাদ বিরোধী লড়াই যতদিন চলবে ততদিন নবাব সলিমুল্লাহ গোটা জাতির জন্য অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে।
নিপীড়িত বাঙ্গালী মুসলমানের মুক্তিদূত, এ অঞ্চলের অবহেলিত বিশাল জনগোষ্ঠীর উচ্চ শিক্ষা প্রসারের অগ্রনায়ক, দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ অগুনতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বপ্নদ্রষ্টা, আধুনিক ঢাকার রূপকার, ভারত বিভক্তির নেতৃত্ব দানকারী একমাত্র রাজনৈতিক সংগঠন মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা নবাব স্যার সলিমুল্লাহর ১০৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল ১০.০০টায় ঢাকার বেগমবাজারস্থ নবাব খাজা সলিমুল্লাহর কবর জিয়ারত শেষে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে দেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ মহাসচিব প্রবীণ রাজনীতিবিদ কাজী আবুল খায়ের উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন দলীয় সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, এ্যাড. আফতাব হোসেন মোল্লা ও সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূর, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান ও কাজী এ.এ কাফী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল আলিম প্রমুখ। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি