News update
  • Heat wave, drought threaten litchi production in Pabna     |     
  • British officials charge 2 with spying for China     |     
  • Teen truck driver takes 3 lives in Bagerhat     |     
  • Heat wave turns very severe in Rajshahi, Chuadanga, Pabna     |     
  • US universities rocked by pro-Palestinian protests     |     

ইসলাম ও দেশবিরোধী সকল আধিপত্যবাদী শক্তিকে সম্মিলিতভাবে রুখে দাও

পীর সাহেব চরমোনাই

রাজনীতি 2024-03-28, 11:29pm

pir-shaheb-of-cgarmonai-mufti-sayed-muammda-rezaul-karim-addressing-an-iftar-mahfil-on-thursday-91ad6d7b28abf611779d16283466f48f1711646974.jpeg

Pir Shaheb of Cgarmonai, Mufti Sayed Muammda Rezaul Karim addressing an iftar mahfil on Thursday



ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, দেশবিরোধী সকল আধিপত্যবাদী শক্তিকে সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে। দেশ স্বাধীন হয়েছে দিল্লির গোলামির জন্য নয়; মাথা উঁচু করে নিজের অধিকার আদায়ের জন্য। স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগের হাতেই আজ স্বাধীনতা ও দেশ বিপন্ন। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে নওগাঁ সীমান্ত এলাকায় ভারতের বিএসএফ আল আমীন নামের এক যুবককে হত্যা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে ভারত। প্রতিনিয়ত সীমান্তে ভারতের বিএসএফ বাংলাদেশীদের পাখির মত গুলি করে হত্যা করেই যাচ্ছে, কিন্তু ভারতের পদলেহি সরকার প্রতিবাদ করার সাহসও পাচ্ছে না। বরং সরকারের শীর্ষ নেতারা ভারত বন্দনায় ব্যস্ত। তিনি ঐতিহাসিক বদরের চেতনাকে ধারণ করে ইসলাম ও দেশবিরোধী সকল শক্তিকে রুখে দাড়ানোর আহ্বান জানান। দেশীয় নব্য ভারতীয় রাজাকারদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তীনের গাজায় ইসরাঈল গণহত্যা চালিয়ে ফিলিস্তীনীদের নিশ্চিহ্ন করতে চায় এটা বিশ্বাবাসীকে বুঝতে হবে। গণহত্যার অভিযোগ জাতিসংঘে গেলেও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এখনো কেন ইসরাঈলের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে বলা হয়নি। তিনি বলেন, ইফতার ও কোরআন শিক্ষার আসর বন্ধ করে আওয়ামী লীগ ইসরাইলের দোসরে পরিণত হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের আমীর আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অঙ্গীকার ভুলুণ্ঠিত করে আওয়ামী লীগ জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ফলে এখনো বাংলার মানুষ প্রকৃত অর্থে পরাধীন ও শোষণ বৈষম্যের শিকার। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে যে স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বিজয় অর্জিত হয়েছিল, আওয়ামী লীগ সেই সব অর্জনকে ধ্বংস করেছে। তিনি বলেন, ‘১৯৬২, ’৬৯ ও ’৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে যে স্লোগান ও দাবি তুলেছিলেন, দুঃখজনকভাবে এখন আমাদের আওয়ামী স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে একই দাবি তুলতে হচ্ছে। যা কখনো কাম্য ছিলো না।

পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, কুরআনের তিলাওয়াত করলে মানুষের হৃদয়ে যে প্রশান্তি আসে, অন্যকিছুতে তা মিলে না। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় কুরআন তিলাওয়াত নিয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষ যে আচরণ করেছে, বিশ্বের অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে তা আমাদের মাথা নিচু করে দেয়। সরকারকে এই ঘটনা খতিয়ে দেখতে হবে।

আজ ১৭ রমজান, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় রাজধানী ঢাকার মিরপুরস্থ ‘মিরপুর কনভেনশন সেন্টার’ (মিরপুর—২ শপিং কমপ্লেক্স) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে ঐতিহাসিক বদর দিবস উপলক্ষে “বিশিষ্টজনদের সাথে মতবিনিময় ও ইফতার মাহফিলে” তিনি এসব কথা বলেন।

ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, ড. রফিকুল ইসলাম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি হাফেজ মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, ছাত্রনেতা নুরুল বশর আজিজি, এড. মশিউর রহমান,    আলহাজ আনোয়ার হোসেন, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মুফতী মোঃ মাছউদুর রহমান, এড. শওকত আলী হাওলাদার,  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গাজী আতাউর রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত সরকারীভাবে, সামরিক, বেসামরিক সকল সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হতো। সেখানে সরকারের উর্ধ্বতন ব্যক্তিসহ সামরিকবাহিনীর লোক উপস্থিত থাকতেন, সুশীল সমাজের মানুষ উপস্থিত থাকতেন। এবার এমন কি হলো যে, সরকারের পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিল না করার জন্য উৎসাহিত করা হয়। কেউ ইফতার মাহফিল করলে সেখানে হামলা করা হয়। আসলে এ সরকার মুসলমানদের সরকার না। মুসলমানদের সরকার হলে ইফতার মাহফিল বন্ধ করতে পারে না। আমরা চুপ থাকলে আমাদের স্বাধীনতা থাকবেনা, দেশ থাকবে না, ঈমান থাকবে না।

সভাপতির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ইসলামের প্রথম যুদ্ধ ছিল বদর যুদ্ধ। এ যুদ্ধের মাধ্যমে সত্য মিথ্যার পার্থক্য স্পষ্ট হয়েছিল। এই যুদ্ধে মুসলমানরা সত্যের পক্ষে অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে একনিষ্ঠভাবে যুদ্ধ করেছিলেন। আল্লাহ তাআলা বিজয়ও দান করেছিলেন। প্রতিবছর এই দিবস আমাদেরকে সত্যের পক্ষে দেশের পক্ষে মানবতার পক্ষে বলিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য নতুনভাবে চেতনা সৃষ্টি করে। সেই চেতনাকে ধারণ করে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে বিদ্যমান সকল জুলুম, অত্যাচার ও অন্যায়ের মূলৎপাটন করতে হবে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটছে, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিচার ও ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবী করছি।