News update
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     
  • Imported fruit prices surge by up to Tk 100 per kg     |     
  • 35% of air pollution in BD originates from external sources: Experts     |     

লিভার সিরোসিস জটিলতায় সিসিইউতে ভর্তি খালেদা জিয়া

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2024-03-31, 9:58am

uayui8w-9992cf54565aebfe46d5beb339e436d21711857532.jpg




বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে আবারও। জরুরি ভিত্তিতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তাকে। সেখানে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে তাকে।

সিসিইউতে রেখেই তাকে চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নীরিক্ষা করানো হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

রোববার (৩১ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে গাড়িবহর হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয় বলে নিশ্চিত করেন তার মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

দিদার জানান, রাত ২টা ৫০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে এভার কেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেন তারা। রাত তিনটার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

তিনি জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে খবর পেয়ে রাতেই গুলশানের বাসা ফিরোজায় যান তার চিকিৎসকরা। সেখানে তার স্বাস্থ্যের পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে রাতেই তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতালে পৌঁছানোর পর পরই খালেদা জিয়াকে সরাসরি সিসিইউতে নেওয়া হয়। লিভার সিরোসিসের জটিলতা বেড়ে যাওয়ায় তাকে সিসিইউতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এর আগে ২৭ মার্চ রাতেও খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছিল। ওই দিনও তাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়। তবে পরে আর নেওয়া হয়নি।

তারও দুই সপ্তাহ আগে ১৩ মার্চ মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এভারকেয়ারে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। সেখানে শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরে ১৪ মার্চ গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান দেশের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। এরপর থেকে তার অসুস্থতা বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে। লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন তিনি। করোনা মহামারিকালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান।

২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৬ অক্টোবর তার চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হাসপাতালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। পরে বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়।

ওই দফায় ১৫৬ দিন হাসপাতালে থাকেন খালেদা জিয়া। গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন। এরপর থেকে সেখানেই ছিলেন। পরে গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে আবারও তাকে সেখানে নেওয়া হলো। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।