Saiful Huq GS Biplabi Workers Party
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রেলে ৪ মে থেকে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের করে ১৫টি রুটে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে 'হটকারি ও মানুষের উপর নতুন অত্যাচারের সামিল' হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন এবং এই গনবিরোধী সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, অসহনীয় ও লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে যখন দেশের সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে, সেসময় রেলের ভাড়া বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষের জীবনে নতুন দূর্ভোগ নিয়ে আসবে। এটা হবে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মত।তিনি বলেন, কিছুদিন আগে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সমস্ত জিনিসের দাম আরেক দফা বেড়েছে; বাড়ানো হচ্ছে অন্যান্য সেবাখাতের মূল্য।
তিনি বলেন, এই পর্যন্ত রেল যাত্রায় ১০০ কিলোমিটারের অধিক ভ্রমণে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ রেয়াত (ছাড়) দেওয়া হতো। এ রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহার করায় প্রধান ১৫টি রুটে সুলভ, শোভন, শোভন চেয়ারে রেল ভাড়া ২০% ও প্রথম শ্রেণীতে ৩০% বাড়বে। যুক্তি দেয়া হচ্ছে এর ফলে রাজস্ব আয় ৩০০ কোটি টাকা বাড়বে। তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, রেলের মেগা প্রকল্পগুলোতে যেখানে শত শত, হাজার কোটি টাকা দূর্নীতি হচ্ছে, সেখানে মাত্র ৩০০ কোটি টাকার জন্য দেশের সাধারণ মানুষের উপর বাড়তি ভাড়া চাপানোর কোন যুক্তি নেই।
তিনি বলেন লোকসানের একই রকম যুক্তিতে এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়ানোর পরেও রেলে লোকসান কমেনি। তিনি উল্লেখ করেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত রেলের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ঋণের ৭২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও তাতে লোকসান কমেনি। তিনি বলেন, রেলে চুরি,দূর্নীতি,লুটপাট, অপচয় ও অব্যবস্থাপনার কারনেই রেলকে পংগু করে লোকসানি খাত হিসাবে দেখানো হয়। এসব অপতৎপরতার দায় মানুষ কেন নেবে!
তিনি বলেন, গোটা রেল ব্যবস্থাপনায় যেসব কালো বিড়াল ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ রেলের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন ছাড়া দেশের প্রধান এই গণপরিবহনকে লাভজনক করা যাবেনা। তিনি সরকারকে এই গণবিরোধী পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহবান জানান। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি