News update
  • Fire breaks out in oil-carrying vessel in Buriganga     |     
  • 4 death row convicts arrested hour after fleeing Bogura jail     |     
  • Commuters suffer as heavy rain inundates Dhaka roads      |     
  • Bangladeshi killed in BSF firing at Lalmonirhat border     |     
  • Female physician sets herself on fire, dies in Mymensingh     |     

কাদেরের কথার জবাব দিতে রুচিতে বাধে: ফখরুল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2024-06-17, 2:35pm

img_20240617_143538-20f154edec181009f95d9905b23b6e3f1718613378.jpg




বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ওবায়দুল কাদেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি না। কারণ, তার কথার জবাব দিতে আমার রুচিতে বাধে।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের পর দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ঈদুল আজহা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মনে করি যারা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত আছেন তারা দুর্নীতি ত্যাগ করবেন। সেই সঙ্গে তাদের সমস্ত অশুভ কামনাগুলোকে বাদ দেবেন এবং জনগণের জন্যে মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করবেন। ঈদুল আজহার দিনে আপনাদের সকলকে ঈদ মোবারক জানাচ্ছি, সেইসঙ্গে আপনাদের মাধ্যমে সারাদেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা রাজনীতি ও ক্ষমতায় আছেন, তারা যদি সত্যকে উপলব্ধি করতে না পারেন, দেশের সমস্যা ও গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে না পারেন, তাহলে তারা কীভাবে দেশ শাসন করবে। সেটি আমরা দেড় যুগ ধরে দেখছি। এই দখলদার সরকার জনগণের সব আকাঙ্ক্ষাগুলোকে পদদলিত করে দিয়েছে। ভোটের ও গণতান্ত্রিক অধিকার পদদলিত করে তারা আজকে জোর করে শাসন চাপিয়ে দিয়েছে। সুতরাং তাদের কথার উত্তর দিতে আমরা ইচ্ছা করে না। কারণ, জনগণ তাদের পছন্দ করে না। জনগণ তাদের ঘৃণা করতে শুরু করেছে। তারা শুধু মিথ্যা কথা বলে জোর করে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসেছেন। এজন্য আমি তাদের খুব বেশি গুরুত্ব দেই না।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দ্রব্যমূল্য যেভাবে বেড়েছে তাতে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এতে ঈদুল আজহার যে আনন্দ, সেই আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ থাকছে না।

মিয়ানমার ও সেন্টমার্টিন ইস্যু নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা যাই বলুক না কেন সেন্টমার্টিনে গোলাগুলি হচ্ছে। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন সমস্ত জাহাজ বন্ধ হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে যেতে পারছে না। এটাই সত্য। তারা এই সত্যকে অস্বীকার করবে কীভাবে। কেন বিজিবি সেখানে যাচ্ছে বারবার। কেন সেনাবাহিনীর প্রধান বারবার বলছেন আমরা সতর্ক আছি।

সম্প্রতি সংলাপ সম্পর্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, আমরা কখনই আলোচনার বিরুদ্ধে নই, আমরা সংলাপেরও বিরুদ্ধে নই। কিন্তু সংলাপটা হবে কার সঙ্গে? সংলাপের উদ্যোগ নেবে কে? নির্বাচন কমিশন তো বলবে আমার কোনো ক্ষমতা নেই; এখন নির্বাচন কমিশনার সংলাপ নিয়ে কথা বললে তো হবে না, যার ক্ষমতা আছে, যারা ক্ষমতাকে দখল করেছে তাদেরকে সংলাপের বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে বলতে হবে এবং আমাদের প্রধান যে দাবি না, আর আমরা তো একা নই, ৬৩টি দল দাবি করেছে- এখানে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হলে একটা নিরপেক্ষ সরকার হতে হবে। একটা নিউট্রাল গর্ভমেন্ট লাগবে, এখানে দলীয় সরকার থাকলে নিউট্রাল হবে না। সে কারণে তাদের প্রথম যে উদ্যোগটা নেওয়া উচিত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল সাহেব যেহেতু এই কথা বলেছেন তার তো উচিত ছিল পদত্যাগ করা; যে আমি এটা করতে পারিনি সুতরাং আমি পদত্যাগ করছি। সেটা করলে সবাই খুশি হতো, তিনিও সম্মানিত বোধ করতেন এবং এই সরকারকে যদি বোঝাতে পারেন তাহলে বুঝতে হবে হাবিবুল আউয়াল সাহেবের এই কথার মূল্য আছে।

এর আগে, দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল-আজহার শুভেচ্ছা জানান বিএনপি মহাসচিব। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর। আরটিভি নিউজ।