Charmonai Pir Saheb, Mufti Syed Muhammad Rezaul Karim.
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, কোটা চালুর মাধ্যমে সরকার বৈষম্য ফেরানোর চেষ্টা করছে। আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সরকার আবার কোটাপ্রথা চালু করতে চাইছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রতিবন্ধী ও নারী কোটা থাকলেও তা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের বেশি নয়। উন্নত সকল দেশে মেধার ভিত্তিতেই চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। যার ব্যতিক্রম একমাত্র আমাদের দেশে। বাংলাদেশের বেকারত্বের হার দিন দিন বাড়ছে এমতাবস্থায় ৫০ শতাংশের অধিক কোটার কারণে বেকারত্ব যেভাবে বাড়বে একই সাথে দেশ থেকে মেধা পাচার হয়ে যাবে। বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা বহাল রেখে মেধাবীদের অবমূল্যায়ন করার কোন যৌক্তিকতা নেই। এমতাবস্থায় সরকারকে দ্রুত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা বাতিল করুন।
তিনি বলেন, ভারতকে করিডোর দেওয়ার প্রতিবাদ এবং দুর্নীতিবাজদের বিচানের দাবিতে সকলকে সোচ্চার ভুমিকা পালন করতে হবে।
আজ এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, ভারতের সঙ্গে কিসের বিনিময়ে সরকার রেল, স্যাটেলাইট ও সামরিক চুক্তি করল, তা দেশের জনগণ কিছুই জানেন না। এটা জানার অধিকার জনগণের আছে। এজন্য চুক্তিগুলো জাতির সামনে প্রকাশ করা জরুরি। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকার বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে ভূলুণ্ঠিত করে, আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে আবার কোটাপ্রথা চালু করতে চাইছে, যা ছাত্রসমাজের আন্দোলনের মাধ্যমে বাতিল করা হয়েছিল ২০১৮ সালে। সত্যিকারের মেধাবীদের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রে কম যোগ্যতা সম্পন্ন ও স্বল্প মেধাবীরা কোটা পদ্ধতির কারণে সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ পাচ্ছে। কোটা ব্যবস্থার কারণে এভাবে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীদের সরকারী চাকুরী থেকে লাগাতার ভাবে বঞ্চিত করা হলে প্রশাসনে এক সময় নিশ্চিত ভাবেই স্থবিরতা নেমে আসবে। রাষ্ট্র ও প্রশাসনের নিজ স্বার্থেই কোটা পদ্ধতির আমূল সংস্কার করে যোগ্যতার ভিত্তিতে মেধানুসারে চাকুরীর নিশ্চয়তা দিতে হবে। সুতরাং সন্তানসম শিক্ষার্থীদের কোটা প্রথা বাতিলের দাবী যৌক্তিক ও ন্যায্য বলে মনে করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সকল দাবী মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
- প্রেস বিজ্ঞপ্তি