News update
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     
  • Dhaka’s air quality recorded ‘unhealthy’ Friday morning     |     
  • Dr Yunus proved impact of innovative economics: Peking Varsity Prof     |     
  • Alongside conflict, an info war is still happening in Gaza     |     

সংবিধান ও রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার ছাড়া বিপ্লব অর্থহীন হয়ে যাবে -মুসলিম লীগ

রাজনীতি 2024-08-09, 12:26am

kazi-abul-khair-muslim-league-secretary-general-bangladesh-muslim-league-95e3dfc52f3d9ffdb8f2de03cc9de41e1723141614.jpg

Kazi Abul Khair Muslim League Secretary General, Bangladesh Muslim League



দেশ সংস্কারের বিপ্লব কোন ভাবেই বেহাত হতে দেয়া যাবে না। সংবিধান ও রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার ছাড়া ছাত্র-জনতার এ বিশাল আত্মত্যাগ অর্থহীন হয়ে যাবে। গুটি কয়েক রাজনৈতিক দল আর ব্যক্তির সাথে কথা বলে বর্তমান সাংবিধানিক সংকট ও রাজনৈতিক অচলাবস্থা সমাধান সম্ভব নয়। সংবিধানের মৌলিক সংশোধন ছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার, ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হবে না; আগ্রাসন প্রতিহত করা যাবে না।

এর জন্য সময় দরকার, অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্ত করার দরকার। সংবিধান ও রাষ্ট্র কাঠামোতে মৌলিক ও সময়োপযোগী পরিবর্তন না হলে ভবিষ্যতে আরও ভয়ঙ্কর স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ উত্থানের সম্ভাবনাকে জিইয়ে রাখবে। তাই যৌক্তিক কারণেই বাংলাদেশ মুসলিম লীগ প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া তড়িঘড়ি নির্বাচনকে সমর্থন করবে না। আজ বেলা ১১.০০টায় বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ৪৮তম পুনর্গঠন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে মুসলিম লীগের পুনর্গঠক খান-এ-সবুরের কবর জিয়ারত শেষে উপস্থিত নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে রাখা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের এসব কথা বলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম, সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূর, আকবর হোসেন পাঠান, খান আসাদ, মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, আব্দুল আলিম প্রমুখ। 

তিনি আরও বলেন, শালীন ও শিষ্টাচারের রাজনীতির ধারক খান এ সবুর ১৯৭৬ সালের ৮ই আগস্ট মুসলিম লীগ পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়ে মুসলিম জাতিসত্তা অনুসারীদের শুধু ঐক্যবদ্ধই করেননি বরং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। বৃহত্তর খুলনা জেলাকে তিনি ১৯৪৭সালে বাউন্ডারি কমিশনে আপিলের মাধ্যমে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের সাথে যুক্ত করেন, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের অংশ হয়েছে। খালিশপুর ও দৌলতপুর সহ পশ্চাৎপদ বৃহত্তর খুলনাকে শিল্পাঞ্চলে পরিণত করেছিলেন। যোগাযোগ মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে তিনি তৎকালীন টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থার বিস্ময়কর উন্নতি সাধন করেছিলেন। বর্তমান সময়ে যখন পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিয়নও ৪০০কোটি টাকার মালিক হয় সেখানে, আজন্ম ত্যাগী খান-এ-সবুর তার সমুদয় সম্পত্তি ট্রাস্ট গঠন করে জনহিতকর কাজের জন্য দান করে গেছেন। তার ঢাকার বাসভবনটি এখন বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ। কৃতজ্ঞ খুলনাবাসী তার অনস্বীকার্য রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করেই ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে তাকে ৩টি আসনে নির্বাচিত করে এবং মৃত্যুর দশ বছর পর ভালবাসা থেকে শহরের প্রধান সড়কটি খান-এ-সবুর রোড নামে নামকরণ করেছিলেন।

অথচ জনগণের উপর সিন্দাবাদের ভূতের মত চেপে বসা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার, তাদের প্রভু ভারতের পরামর্শে মুসলিম জাতিসত্তা ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ বিলুপ্তি মিশনের অংশ হিসাবে খান-এ-সবুরের মত অনুস্মরণীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নাম নিশানা মুছে ফেলতে চেয়েছে। তাদের নামে থাকা বিভিন্ন স্থাপনার নাম অন্যায় আইন করে বদলাতে বাধ্য করেছে। এমনকি বিগত ১৫-১৬বছর আমাদেরকে খান-এ-সবুরের কবর পর্যন্ত জিয়ারত করতে আসতে বাঁধা দিয়েছে। অথচ এরকম অনুকরণীয়-অনুস্মরণীয় আদর্শিক ব্যক্তিদের নাম মুছে যাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছে, ছাত্র-জনতা আজ উল্টো তাদেরই নাম,নিশানা,মূর্তি ভেঙে খান খান করে দিয়েছে। দেশপ্রেমিক জনগণ বিবেকের তাড়নায়, ফ্যাসিস্ট সরকার কর্তৃক পরিবর্তন করা সকল স্থাপনা, সড়ক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে পূর্বের নাম পুনঃস্থাপন করে জাতিকে কলঙ্কের দায় থেকে মুক্তি দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি