News update
  • Indices tumble on both bourses amid broad-based sell-off     |     
  • BNP Names 237 Possible Candidates for Polls     |     
  • Bangladeshi leader of disabled people of world Dulal honoured     |     
  • Dengue: 5 more die, 1,147 hospitalised in 24hrs     |     
  • UN Report Warns Inequality Fuels Global Pandemic Vulnerability     |     

ছেলের দেয়া কোন আশ্বাসে শেখ হাসিনা পদত্যাগে রাজি হয়েছিলেন?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2024-09-07, 7:20pm

4b914764be4543396d7d6f358f11a5e8e90587ec9333d229-ba3a12092b9b0b6f917c6dea7aa36ae21725715238.jpg




আগস্টের শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকায় অনিশ্চয়তা দেখা দিতে শুরু করে। তবে কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পাননি শেখ হাসিনা ৫ আগস্টেই পদত্যাগ করবেন, এমনকি খোদ হাসিনাও জানতেন না ওইদিনই তাকে পদত্যাগ করতে হবে।

পদত্যাগের একদিন আগেও আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা জানতেন শেখ হাসিনা আরও কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছেন। পুলিশবাহিনীর ধারণা পর্যন্ত ছিল না, পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। আগের দিন রাতেও শেখ হাসিনার সঙ্গে নেতা থেকে পুলিশের উচ্চপর্যায়ের যাদের যোগাযোগ হয়েছিল, তাদের সবাইকে হাসিনা আরও কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য থেকে জানা যায়।

বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা ও গণভবনের সূত্র থেকে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে গণভবনের পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে শুরু করে। তিন বাহিনীর প্রধান এবং পুলিশের আইজির সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনাকে দেশের বাস্তব চিত্র বোঝানো হলেও তিনি পদত্যাগ করবেন না বলে নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন। এমনকি বোন শেখ রেহানা বলার পরও শেখ হাসিনা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণে একদমই রাজি ছিলেন না।

এ অবস্থায় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ফোন করে পুরো ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলেন। জয় নিজেও শুরুতে পদত্যাগে সায় দেননি। শেখ হাসিনার জীবনের নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব হবে না এবং বড় রকমের মৃত্যুঝুঁকি আছে এমন পরিস্থিতি জয়ের সামনে তুলে ধরা হলে তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে পদত্যাগের বিষয়ে আলাপে রাজি হন।

বেশ কয়েকটি সূত্রে জানা যায়, জয়ের সঙ্গে হাসিনার ১০ মিনিটের মতো ফোনালাপ হয়। ওই ফোনালাপে জয় হাসিনাকে বোঝান যে এ মুহূর্তে গণভবনে থাকা তার জন্য নিরাপদ নয়। আপাতত গণভবন থেকে ভারতের উদ্দেশে যাওয়ার পরামর্শ দেন জয়।

আওয়ামী লীগের হাতে টিকে থাকার সবশেষ দান ছিল ভারতের সহায়তা। শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিলে সেখান থেকে তিনি পুনরায় দেশে ফিরে আসতে বা রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারবেন–এমন আশ্বাসে এবং বেঁচে না থাকলে আওয়ামী লীগের আপাতত হাল ধরার আর কেউ থাকবে না–এ শঙ্কায় শেষমেশ ছেলের কথায় পদত্যাগে রাজি হন শেখ হাসিনা।

পদত্যাগের আগে হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন। মূলত জয়ের পরামর্শেই হাসিনা শেষবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে চেয়েছিলেন। তবে ততক্ষণে ছাত্র-জনতা গণভবনের কাছাকাছি চলে এসেছে–এমন তথ্যের ভিত্তিতে ভাষণ রেকর্ডের সময় পাননি তিনি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যাগ-সুটকেস গুছিয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছে তাকে। সময় সংবাদ।