News update
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     
  • EU deploys election observation mission to Bangladesh     |     

বৈষম্যহীন দেশ ও জাতি গঠনে ইসলামের বিকল্প নেই, পীর সাহেব চরমোনাই

রাজনীতি 2024-09-29, 11:30pm

charmonai-pir-saheb-on-sunday-addressed-a-meeting-of-the-majlis-e-amela-of-iab-on-sdunday-f5e921b0ea08c075ceca1581ae24adbe1727631026.jpg

Charmonai Pir Saheb on Sunday addressed a meeting of the Majlis-e-Amela of IAB on Sunday.



ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, বিগত ১৬ বছরে যারা দেশকে লুটেপুটে খেয়েছে, দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতির প্রচলন করে দেশকে ভয়াবহতার দিকে নিয়ে গেছে। বিগত আওয়ামী রাজনীতির পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না জনগণ। মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চায়। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলদারিত্বের অবসান চায়। যদি কেউ প্রতিহিংসার রাজনীতি চর্চায় ফিরে যেতে চায় ছাত্র-জনতার পুনরায় তাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠবে। তিনি নব্য চাঁদাবাজ, দখলবাজ, অবৈধ অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের দমন করতে সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত যৌথ অভিযান শুরু করার আহ্বান জানান।

ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, দেশকে সংষ্কার করতে হবে। বিগত ফ্যাসীবাদী সরকার দেশকে ভয়াবহতার মধ্যে নিয়ে গিয়েছিলো। সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে গুলি করে হাজার হাজার মানুষ হত্রা করে দেশে খুনের রাজস্ব কায়েম করেছিলো। জুলাইর হত্যাকান্ডের খুনিদের বিচার করতে হবে। কোন খুনিকে রেহাই দেওয়া হবে দেশ ও জনগণের জন্য অত্যন্ত খারাপ দৃষ্টান। তিনি গণহত্যার বিচার করে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আওয়ামী সরকার এই দেশের নয় বরং বিদেশী দালাল সরকার হিসেবেই শিক্ষানীতিসহ বিভিন্ন সেক্টরে দেশ ও ধর্মবিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছিল। এখনও আওয়ামী প্রেতাত্মা ভর করে শিক্ষাকে ধ্বংস মরিয়া হয়ে আছে। ্ইসলাম ও  মুসলিম বিদ্বেষী কোন চক্রান্ত দেশবাসী মানবে না।

গতকাল রাতে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মজলিসে আমেলার এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ হারুন অর রশিদ, মুফতী হেমায়েতুল্লাহ, মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মাওলানা মকবুল হোসাইন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা শোয়াইব হোসেন, মাওলানা আবুল কালামা আজাদ, জিএম রুহুল আমিন, উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা নুরুল ইসলাম আল-আমিন, হাফেজ মাওলানা নুরুল করীম আকরাম, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মাওলানা আরিফুল ইসলাস, অ্যাডভোকেট এম হাছিবুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট বরকত উল্লাহ লতিফ, আব্দুল আউয়াল মজুমদার, আলহাজ্ব সেলিম মাহমুদ, আল মোহাম্মদ ইকবাল,।

তিনি বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করেছি, কিন্তু স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৫৩ বছর সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার ছিল ইসলাম ও মুসলমানরা। ধর্মনিরপেক্ষতার হুজুগ তুলে বিগত সময়ে ইসলাম বিরোধীতার চর্চা করা হয়েছে। ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোকে বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে কোনঠাসা করে রাখা হয়েছিল। যদিও সাধারণ জনতা ইসলামী দলগুলোকেই বেশি ভালোবাসে। তিনি আরো বলেন ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারের বিদায়ের মধ্যদিয়ে একটি কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্তু কোনো পরীক্ষিত দুর্নীতিবাজকে ক্ষমতায়ন করা হবে না। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি