News update
  • CA Yunus pays homage to Liberation War martyrs on Victory Day     |     
  • Bangladesh capital market extends losing streak for second day     |     
  • Bangladesh celebrates Victory Day Tuesday     |     
  • 'Different govts presented history based on their own ideologies': JU VC     |     

ডরিনের ডিএনএতে মিল, খণ্ডবিখণ্ড দেহাংশ এমপি আনারের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2024-12-20, 2:29pm

img_20241220_142419-14e1ab54397d8635c467d693a30913471734683384.jpg




ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে যে হত্যার পর টুকরো টুকরো করা হয়েছিল তার সত্যতা মিলেছে। তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের ডিএনএ মিলেছে সেই মাংস ও হাড়ের সঙ্গে।ষ

কলকাতার সঞ্জীভা গার্ডেনসের ফ্লাটে আনারের মরদেহ টুকরো টুকরো টয়লেটে ফ্ল্যাশ করেন ঘাতকরা। এ ছাড়া শরীরের হাড় কলকাতার ভাঙ্গরের বাগজোলা খালের বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় তারা।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সূত্রে জানা গেছে, নভেম্বরের শেষ দিকে ডরিন কলকাতায় ডিএনএর নমুনা দিয়ে এসেছিলেন। ভারতের সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে দুইটি নমুনা পাঠানো হয়েছিল। সেই নমুনা দুটির ডিএনএ মিল পাওয়া গেছে।

পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির সিনিয়র এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডিএনএ রিপোর্ট নিশ্চিত করেছে যে, একটি খাল এবং ফ্ল্যাটের পাশ থেকে উদ্ধার করা মাংস এবং হাড়গুলো বাংলাদেশের সাবেক এমপির।

গত ১২ মে তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে কলকাতার বরাহনগরে তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। সেখান থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। এরপর ১৮মে স্থানীয় থানায় গোপাল বিশ্বাস জিডি করলে তদন্ত শুরু হয়।

এরইমধ্যে পুলিশ গত ২২মে জানায় কলকাতার অভিজাত নিউ টাউনের সঞ্জীভা গার্ডেনসে খুন হন এমপি আনার। ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে সেপটিক ট্যাংক এবং বর্জ্য যাওয়ার পাইপ-লাইন থেকে মাংসের টুকরো, মাথার চুল উদ্ধার করেছিল ভারতের সিআইডি।

সেই সময় সেগুলো আনোয়ারুল আজীমের কিনা সে সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পরে সিআইডি জানিয়েছিল সেসব মানুষের দেহাংশ বিশেষ। ডিএনএ পরীক্ষা হলে বিষয়টা স্পষ্ট হবে।

এই ঘটনায় আসামী গ্রেপ্তারের ৮৭ দিনের মাথায় বারাসাত আদালতে প্রায় ১২০০ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে ভারতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি সূত্রের খবর, চার্জশিটে ধৃত ‘কসাই’ জিহাদ হাওলাদার এবং মুহম্মদ সিয়ামের নাম আছে। তবে কী উদ্দেশ্যে খুন করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। তদন্তকারীদের একাংশের ব্যাখ্যা, তদন্ত শেষ না হলে খুনের কারণ বলা যাবে না। তা ছাড়া, এই মামলায় মূল অভিযুক্তকে এখনও জেরা করা যায়নি।

তদন্তকারীদের একাংশের ব্যাখ্যা, তদন্ত শেষ না হলে খুনের কারণ বলা যাবে না। তা ছাড়া, এই মামলায় মূল অভিযুক্তকে এখনও জেরা করা যায়নি।

ভারতের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ঘটনার ৯০ দিনের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থাকে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হয়। আনার হত্যা মামলার অভিযোগপত্র ৮৭ দিনের মাথায় পেশ করা হলো।আরটিভি