News update
  • Fire at UN climate talks in Brazil leaves 13 with smoke inhalation     |     
  • 5mmcfd gas to be added to national grid from Kailashtila gas field     |     
  • ArmArmed Forces Day: Tarique's message draws on historic closeness     |     
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     

দেশব্যাপী ‘বুলডোজার কর্মসূচি’, গুঁড়িয়ে দেয়া হলো শেখ পরিবারের নামে থাকা স্থাপনা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2025-02-06, 6:58am

buldojar-1024x576-b83f44a76e3c0aea9ad7e0ca36ff61ea1738803491.jpg




সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে জেলায় জেলায় বুলডোজার কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে ছাত্র-জনতার ব্যানারে। বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর করা হচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শেখ পরিবারের সদস্যদের নামের বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন নাম ফলক খুলে ফেলা হয়।

খুলনায় শেখ বাড়িখ্যাত ভবন গুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। এছাড়া, সাবেক এমপি মাহবুব উল হানিফ, আমির হোসেন আমুসহ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বাসভবনেও আগুন দেয়া হয়।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফেসবুক লাইভে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক বক্তব্য দেন। এরই জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে করা হয় ভাঙচুর। ছাত্র-জনতার ব্যানারে প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম ফলক ভেঙে ‘বিজয়-২৪’ নাম দেয়া হয়। পরে মুছে ফেলা হয়, ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা হলসহ ক্যাম্পাসজুড়ে মুজিব পরিবারের নামের বিভিন্ন গ্রাফিতি আর দেয়াল লিখন। এছাড়া জাতীয় নেতা শহীদ কামারুজ্জামানের নামে নির্মাণাধীন হলের নামও পরিবর্তন করা হয়।

খুলনা নগরীর ময়লাপোতা মোড়েরর শেরে বাংলা রোডে শেখবাড়ি খ্যাত ভবনটি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয় ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বলেন, নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো চিহ্নই আর ঠাঁই পাবে না।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও ভেঙে ফেলা হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে থাকা স্থাপনা। মুছে ফেলা হয়েছে বিভিন্ন গ্রাফিতি।

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামের বিভিন্ন স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কারমাইকেল কলেজসহ শহরজুড়ে বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর চালানো হয় ছাত্র-জনতার ব্যানারে।

ছাত্র-জনতার ব্যানারে বরিশালের কালিবাড়ি রোড এলাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বাসভবনে আগুন দেয়া হয়। পাশাপাশি, বুলডোজার দিয়ে ভাঙচুর চালানো হয় ভবনে। ভাঙচুর করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর বরিশালের বাসভবন।

ভোলা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

সাতক্ষীরা শহরে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালেও চলে ভাঙচুর। পরে জেলা পরিষদ ও সদর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সেও গুঁড়িয়ে দেয়া হয় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল।

উত্তজেনা ছড়িয়ে পড়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও। প্রেসক্লাব মোড়ে শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতি ভাঙচুর করা হয় ছাত্র-জনতার ব্যানারে। জামালখান মোড়েও ফ্যাসিবাদকে গুঁড়িয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

কুষ্টিয়ায় শহরের কাস্টম মোড় থেকে মশাল মিছিল বের করে উত্তেজিত ছাত্র-জনতা। পরে, পিটিআই মোড়ে অবস্থিত কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়িতে আগুন ও বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়।

নাটোর শহরের কান্দিভিটায় সাবেক এমপি শফিকুল ইসলামের শিমুলের বাড়িতেও আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মুজিব মুর‍্যাল’ গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া, ভাঙচুর করা হয়েছে নগরের সার্কিট হাউস মাঠ সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালও।

সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধরা। পরে, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনাতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

এছাড়া, ছাত্র জনতার ব্যানারে যশোরের অন্তত ৭টি জায়গায় ভাঙা হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। কিশোরগঞ্জ, দিনাজপুর, ভোলাসহ বিভিন্ন জেলার ভাঙচুর আর মশাল মিছিল করা হয়েছে। যমুনা।