ব্যবসায়ীদের আগে ১ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হতো, এখন ৫ লাখ টাকা দিতে হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২৬ জুলাই) ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান রচিত ‘অর্থনীতি, শাসন ও ক্ষমতা: যাপিত জীবনের আলেখ্য’ শীর্ষক বই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
এক ব্যবসায়ীর বরাত দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গতকাল একজন বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলো। তিনি বলেছেন- ‘আগে ঘুষ দিতাম এক লাখ টাকা, এখন দিতে হচ্ছে ৫ লাখ টাকা।’
ফখরুল বলেন, ‘রাতারাতি আমরা সবকিছুকে বদলে ফেলতে পারবো না। গণতন্ত্রকে তার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চলতে দিতে হবে। উত্থান পতন থাকবে। কিন্তু চলতে দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দলের পক্ষ থেকে ভিশন ২০৩০ করতে চাই। আন্দোলন চলাকালে রাষ্ট্র গঠনের ৩১ দফা দিয়েছি। আমরা এভাবে এগোনোর চেষ্টা করছি।’
এ সময় বর্তমান রাষ্ট্রকাঠামো আর অর্থনৈতিক কাঠামোর গুণগত পরিবর্তন দরকার বলেও উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ একটা বড় বিষয়। আমাদের তখনকার অনেক আকাঙ্ক্ষা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তা পূরণ হয়নি। গণতন্ত্র সঠিকভাবে চলতে পারেনি। চলতে দেয়া হয়নি।’
গেল ১৫ বছরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্র কথাটাকে পুরোপুরি উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। আমাদের নেতাকর্মীরা গুম হন। এভাবেই রাজনীতির কাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।’
দেশবাসীকে হতাশ হওয়ার খুব বেশি কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কথা আসছে। এই মাধ্যম সমাজকে গ্রাস করে ফেলছে। মব তৈরি হচ্ছে এর মাধ্যমে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নিয়ে ফখরুল বলেন, ‘ট্রাম্পের বাণিজ্য শুল্ক বাংলাদেশকে বড় ধরনের বিপদে ফেলতে যাচ্ছে। যা উত্তোরণে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিশেষভাবে আলোচনা করা দরকার।’