News update
  • US Faces Pressure as UN Votes on Gaza Ceasefire     |     
  • Prof Yunus includes 4 political leaders in UNGA tour del     |     
  • Tarique calls for vigilance to prevent troubles during Puja     |     
  • Parties divided on constitution order move over July Charter     |     
  • Khulna’s ‘white gold’ shrimp eyes Tk 22,600cr export goal     |     

ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2025-09-18, 5:20pm

eaead9266f2d3a9ee3c6baab95fe920e729334e7f550939d-f85ff75bb59f910edb2f1ff6a5776e751758194425.jpg




জুলাই গণহত্যার বিচার, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের বিচার এবং বিচার চলাকালে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা আয়োজিত এই কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের ব্যাপক অংশগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। বিক্ষোভ মিছিলে তারা ‌‘যদি না হয় পিআর, আবার ফিরবে স্বৈরাচার’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জোহরের নামাজের পর মিছিলের আগে বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করে দলটি। কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল-পূর্বক সমাবেশ। সেখানে বক্তৃতা করেন দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা।

বক্তারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের প্রতি জোর দেন। এছাড়াও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত এবং জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের বিচার নিশ্চিতেও সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন। বক্তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রাইমারি স্কুলে গান ও নাচের শিক্ষক বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদ জানান। 

সমাবেশ শেষে বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেট সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে শুরু হয়ে পল্টন মোড় পর্যন্ত গিয়ে আবার বাইতুল মোকাররমের সামনে এসে শেষ হয়। কোরআনের আয়াত তিলাওয়াত করে মিছিল শেষ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম 

এর আগে বিক্ষোভ মিছিল-পূর্বক সমাবেশে মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, আমি মনে করি, ভারত জুলাই চায় না। জুলাইয়ের আইনি ভিত্তি দিতে হবে। আপনারা কি ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন? অন্তর্বর্তী সরকার শুধু নির্বাচন দেয়ার জন্য ক্ষমতায় আসেনি। নির্বাচনের আগে ৩টি কাজ করতে হবে। সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার এবং নির্বাচন। নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে দিতে হবে। ৮০ শতাংশ জনগণ পিআরের পক্ষে।

তিনি বলেন, পিআরে তো বিএনপির আপত্তি থাকার কথা না। কারণ তাদের উচ্চপর্যায়ের এক নেতা দাবি করেছেন, নির্বাচনে তারা ৯০ শতাংশ ভোট পাবেন। আর তারা যেহেতু সবার সম্পৃক্ততায় নির্বাচন চান সেহেতু পিআর তো তাদেরই চাওয়ার কথা। 

পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে ফ্যাসিস্ট তৈরি হবে না, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে না, ভোট ছিনতাইয়ের সুযোগ থাকবে না।

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সব ধরনের মানুষের সংসদ হবে বলে মনে করেন মুফতি ফয়জুল করিম।

বাম, ডান হিন্দু মুসলমানের সংসদ হবে। যেকোনো আন্দোলনের জন্য রাস্তায় নামতে হবে না। আন্দোলন হবে সংসদে। যদি কোনো সংশয় থাকে গণভোট দেন। জনগণ চাইলে পিআরে নির্বাচন হবে, না চাইলে হবে না।

প্রাইমারি স্কুলে গান এবং নাচের শিক্ষক নিয়োগ না দেয়ারও দাবি জানান তিনি। বলেন, মুসলমানদের ট্যাক্সের টাকায় এই দেশে নাচ-গানের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া যাবে না। কেউ যদি করতে চায় তাহলে সে মসনদে থাকতে পারবে না। যদি টিচার দিতে চান তাহলে কম্পিউটারের টিচার দেন। আর ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলক করতে হবে।

এছাড়া সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হবে না। পিআর পদ্ধতিতেই হতে হবে। জুলাই সনদের আইনের ভিত্তিতে নির্বাচন হতে হবে। যারা নির্বাচনে বানচাল করতে চায় তাদের আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদের বঙ্গোপসাগরে পাঠাবে।

দাবি আদায় হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দেন তারা।

ঐকমত্য কমিশনে আলোচনার মধ্যেই রাজপথে জামায়াতসহ কয়েকটি ইসলামী দল। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে দলগুলো। এসব দাবি আদায়েই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেটসহ কয়েকটি স্থানে আজ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করছে জামায়াতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ সাতটি রাজনৈতিক দল।

জোহরের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন, আসরের পর দক্ষিণ গেটে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল জামায়াতে ইসলামীর। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে একই কর্মসূচি আরও পাঁচ দলের।

এই ইসলামী দলগুলোর অভিন্ন দাবির মধ্যে রয়েছে- জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করা ও বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের বিচার এবং বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

এছাড়া শুক্রবার বিভাগীয় শহরে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সব জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালন করবে দলগুলো।