আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারিতে সব্যসাচী হাজরার ব্রাহ্মী থেকে বাংলা শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনে আপনাদের স্বাগতম। প্রদর্শনীটির উদ্বোধন হবে মঙ্গলবার, ১৪ জুন বিকেল ৫টায়।
একই সাথে প্রকাশিত ও প্রদর্শিত হবে অক্ষরবিন্যাসের দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলা হরফকে নান্দনিক ও ব্যবহারিকভাবে বিশ্লেষণ এই প্রদর্শনী ও প্রকাশনার প্রধান উপজীব্য। বইটি যৌথভাবে প্রকাশ করেছে কথাপ্রকাশ ও নোকতা এবং প্রদর্শনীর সহযোগিতায় রয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ও শিল্পী নিসার হোসেন, অধ্যাপক ও শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য্য, স্থপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা এনামুল করিম নির্ঝর, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোমিনুল ইসলাম এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার পরিচালক ফ্রঁসোয়া ঘ্রোজঁ। বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী, ভাষা আন্দোলনের সত্তর বছর ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদ্বিশতবার্ষিকীর সন্ধিক্ষণে এই প্রকাশনা ও প্রদর্শনীটি উপস্থাপিত হচ্ছে।
মুখের ভাষার মতো লেখার হরফও প্রতিনিয়ত রূপ বদলায়। সময়, প্রযুক্তি, মাধ্যম, প্রয়োগ, বৈষয়িক বোঝাপড়া ও নন্দনতাত্তি¡ক নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে ভিন্নতা পায় হরফের আদল ও ব্যঞ্জনা। প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে দৈনন্দিন জীবনে হাতে লেখার প্রয়োজন সীমিত হয়ে আসছে। কিন্তু হস্তাক্ষর ও লেখাঙ্কনের অনুশীলন অক্ষরবিন্যাস সংশ্লিষ্টদের জন্য খুবই জরুরি। মুদ্রিত বাংলা অক্ষরের প্রমিতরূপ বিগতকালের হস্তাক্ষরের অনুকরণেই গৃহীত। অক্ষরবিন্যাসের বহুমাত্রিক সম্ভাবনা নিয়ে চর্চার প্রয়োজনে বাংলা অক্ষরের প্রমিত রূপকে প্রকৃতভাবে চেনা, জানা ও আত্মস্থ করার তাগিদে এই প্রয়াস। ব্রাহ্মী থেকে বাংলা শিরোনামে প্রদর্শনীর মাধ্যমে সব্যসাচী হাজরা মূলত তরুণ শিল্পীদের জন্য বাংলা অক্ষর বিষয়ে তার অনুসন্ধানের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন। সব্যসাচী আশা করেন তরুণ শিল্পীরা এই চর্চাকে এগিয়ে নেবেন এবং এই প্রকাশনার তথ্যগত ঘাটতি পূরণ করবেন।
বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী, ভাষা আন্দোলনের সত্তর বছর ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদ্বিশতবার্ষিকীর সন্ধিক্ষণে এই প্রকাশনা ও প্রদর্শনীটি উপস্থাপিত হচ্ছে।
প্রদর্শনীটি চলবে ২৫ জুন পর্যন্ত। সোমবার থেকে শনিবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি খোলা থাকবে। রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ। প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত। বিজ্ঞপ্তি।