মিডওয়াইফদের কাজের স্বীকৃতি, মাতৃত্ব, নবজাতক এবং কিশোরীদের স্বাস্থ্য বিষয়ে মিডওয়াইফারি পরিষেবাগুলির শক্তিশালীকরণ এবং মানসম্পন্ন মিডওয়াইফারি শিক্ষা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটের নসরুল হামিদ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটি (বিএমএস) সরকারি ও বেসরকারি স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ৭ হাজার ২৩০ জন লাইসেন্সপ্রাপ্ত মিডওয়াইফ রয়েছেন। যাদের মধ্যে ২ হাজার ৫৫৭ জন মিডওয়াইফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ইউনিয়ন সাব সেন্টারে কর্মরত। আনুমানিক প্রায় ৫০০ জন মিডওয়াইফ রোহিঙ্গা রিফুজি ক্যাম্পগুলোতে ও বাকিরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। মোট ১৭০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার ৭০৫টি আসন রয়েছে। ৬২টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ৮২৫টি ও ১০৮টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ৩ হাজার ৮৮০টি আসন রয়েছে।
বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সংগঠিত মোট স্বাভাবিক প্রসবের ৭৪ শতাংশ মিডওয়াইফরা সম্পন্ন করছেন। মিডওয়াইফরা নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে মা ও নবজাতক শিশুদের জীবন বাঁচাতে পারলেও স্বীকৃতির দিক থেকে তারা পিছিয়ে। অনেকেই মিডওয়াইফদের নার্স বলেই মনে করেন। যদিও মিডওয়াইফারি একটি স্বতন্ত্র পেশা। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মিডওয়াইফরা অপর্যাপ্ত সংখ্যায় কাজ করছেন।
সভায় আরও বলা হয়, মা ও নবজাতক শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সিজারিয়ান ডেলিভারি কমানো ও নরমাল ডেলিভারি বাড়ানোর জন্য সরকারি এবং বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে অনতিবিলম্বে আরও মিডওয়াইফ নিয়োগ প্রয়োজন।
মিডওয়াইফ পেশাটিকে সাধারণ মানুষের কাছে আরও বেশি পরিচিত করা প্রয়োজন যাতে তারা সেবা নিতে পারে। সরকার যেন মিডওয়াইফদের নির্ধারিত কর্মবিবরণী অনুযায়ী কাজের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। যৌক্তিক এবং বাস্তবসম্মত উপায়ে মিডওয়াইফদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটির সভাপতি আছমা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক সংগীতা সাহা প্রেমা, মিডওয়াইফ সৈয়দা মাহফুজা ঝুমু, নির্বাহী সদস্য জেরিন তাসনিম, প্রজেক্ট ম্যানেজার শারমিন শবনম জয়া বক্তব্য রাখেন।
অতিথি হিসেবে মো. রশিদুল মান্নাফ কবীর (উপসচিব), পরিচালক (শিক্ষা ও শৃংখলা), নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এবং রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব)বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল, স্বনামধন্য টেলিভিশন উপস্থাপক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফেরদৌস বাপ্পি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও প্রো-নার্স প্রজেক্টসহ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি নিউজ।