News update
  • FAO Warns of ‘Silent Crisis’ as Land Loss Threatens Billions     |     
  • Indices tumble on both bourses amid broad-based sell-off     |     
  • BNP Names 237 Possible Candidates for Polls     |     
  • Bangladeshi leader of disabled people of world Dulal honoured     |     
  • UN Report Warns Inequality Fuels Global Pandemic Vulnerability     |     

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পাহাড়ি প্রাণের উৎসব ‘বৈসাবি পালিত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংগঠন সংবাদ 2024-04-13, 10:50am

kruiowr99-63f3422dc72d4bda3fdfc414044fd19a1712983832.jpg




প্রতিবছরের মতো এবারো নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পাহাড়ি প্রাণের উৎসব বৈসাবি-২০২৪ পালিত হয়েছে ।শুক্রবার সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.মশিউর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রাজধানীতে বসবাসরত পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বাহারি সাজে সজ্জিত হয়ে বৈসাবি উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিবছর এ উৎসবের আয়োজনকারী হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ বৈসাবি উৎসব র‌্যালিতে অংশ নেন।

র‌্যালিটি সকাল ৯ টায় ঢাকার বেইলি রোডে অবস্থিত শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র হতে শুরু হয়ে বেইলি রোড ও রমনা পার্কের ভিতর দিয়ে প্রদক্ষিণ করে পার্কের লেকের প্রান্তে গিয়ে শেষ হয়। পরে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে রমনা লেকের পানিতে নর-নারী ও শিশুরা ফুল ভাসানোর মধ্যদিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি হয়।

সচিব বলেন, পার্বত্য তিন জেলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ করা এবং ব্যাপক প্রচার ও প্রসার ঘটানোসহ পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার একটি অন্যতম অংশ হলো এই ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসব। এখানে তিন পার্বত্য জেলার ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্রতা ফুটে ওঠেছে।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ধর্মীয় ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠান এবং সংস্কৃতির অবস্থাকে তুলে ধরতে প্রতিবছর এর আয়োজন করা হয়।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানগুলো রাজধানীবাসীসহ সারাদেশে পরিচয় করিয়ে দিতেই ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই কেন্দ্রের প্রধান কাজ হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগুলোর গবেষণা ও সংরক্ষণ করা।বৈসাবি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পার্বত্যবাসীদের মধ্যে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ, শ্রদ্ধাবোধ ও আস্থা আরও সুদৃঢ় হচ্ছে- যার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান শান্তি অব্যাহত থাকবে এবং দেশের উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করছি।

অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যের মাঝে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি সৈয়দ জিয়াউল করিম, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা পিপিএম (বার) উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য,বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সমাজের বর্ষবরণ উৎসব হলো বৈসাবি। এটি তাদের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। এই উৎসবটি ত্রিপুরাদের কাছে বৈসুব, বৈসু বা বাইসু, মারমাদের কাছে সাংগ্রাই এবং চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের কাছে বিজু নামে পরিচিত। বৈসাবি নামরকরণও করা হয়েছে এই তিনটি উৎসবের প্রথম অক্ষরগুলো নিয়ে। একুশে নিউজ