News update
  • 5mmcfd gas to be added to national grid from Kailashtila gas field     |     
  • ArmArmed Forces Day: Tarique's message draws on historic closeness     |     
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     
  • China calls for implementation roadmap for new finance goal     |     

সংখ্যালঘুদের পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার প্রবর্তনের দাবি

হিন্দু মহাজোটের গোলটেবিল 

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংগঠন সংবাদ 2024-12-14, 7:10pm

eryt43345-9439b792e2944bcb84f37d940e856d741734181843.jpg




বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব ড. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সমস্যা মূলত রাজনৈতিক। তাই সমাধানও হতে হবে রাজনৈতিকভাবে। সেজন্য স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতে তাদের জন্য পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা থাকতে হবে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট আয়োজিত ‘বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এমন মন্তব্য করেন।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধে গোবিন্দ প্রামানিক বলেন, আমরা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই। সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দেশে ও বিদেশে যারা দেশকে মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী প্রচার করে রাজনৈতিক সুবিধা নিয়েছে, দেশকে অস্থিতিশীল করছে, তাদের কবর রচনা করতে চাই। এবং তা সম্ভব হবে পৃথক নির্বাচন পদ্ধতি পুনরায় বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে।

তিনি আরও বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য জনসংখ্যানুপাতে আসন সংরক্ষণ করতে হবে। সারা দেশের প্রাপ্ত ভোট অনুসারে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো সদস্য মনোনীত করবে। যাদের মধ্য থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটাররা সরাসরি ভোটে স্ব স্ব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।

আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ এখনও বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। অথচ পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা অব্যাহত থাকলে তা করতে পারতো না। প্রতিনিধিত্ব শূন্য হয়ে হিন্দু সম্প্রদায় দিন দিন বিলুপ্তির দিকে ধাবমান। ১৯৪৭ সালে এদেশে হিন্দুর সংখ্যা ছিল ৩৩ শতাংশ। ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান বলছে এখন মাত্র ৭.৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ২০-২২ বছরে এদেশ হিন্দু শূন্য হবে।

তারা আরও বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ তাদের শাসনামলে সংখ্যালঘুদের আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব দেয়নি। অন্যান্য দল থেকেও সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্ব অনিশ্চিত। অর্থাৎ বলা যায়, আগামীতে যারাই ক্ষমতায় আসুক, জাতীয় সংসদে সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্ব শূন্য থাকবে।

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতে বহির্বিশ্বে নিন্দার ব্যপারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মান-মর্যাদা, সব অর্জন সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতে ধূলিসাৎ। হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাস পেছনে ফেলে বাংলাদেশকে জঙ্গি, মৌলবাদী তকমা জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ধর্ম অবমাননার অজুহাতে আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের শাসনামলে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, ‘অনুসন্ধানে জানা গেছে ১৯৯১ সালের ঘটনাসহ প্রতিটি ঘটনার ইন্ধনদাতা আওয়ামী লীগ। তাতে অন্যান্য দলের কর্মীরাও অংশগ্রহণ করেছে। যে কারণে কোনও ঘটনারই বিচার করেনি কোনও দল।

সাংবাদিক সুজন দের সঞ্চালনায় ও হিন্দু মহাজোটের সভাপতি এডভোকেট দ্বিনবন্ধু রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ আর্ন্তজাতিক সম্পাদক সাবেক এমপি ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা, বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যাড. এহসানুল মাহবুব যোবায়ের,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশ্রাাফ আলী আকন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, বাংলা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আবু হেনা রাজ্জাকী, শ্রীকৃষ্ণ সেবা সংঘের সভাপতি নকুল সাহা, দৈনিক সমাকালের সিনিয়র রিপোর্টার রাজীব আহমেদ, হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার পাল, সহ সভাপতি দুলাল মন্ডল, তরুণ ঘোষ, যুগ্ম মহাসচিব ডা. হেমন্ত দাস, সঞ্জয় ফালিয়া, বিশ্বনাথ মোহন্ত, হিন্দু মহাজোটের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিক অ্যাড. প্রতীভা বাকচী ও বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অরবিন্দ হাওলাদার। আরটিভি