পাঁচতলা এক অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে রুশ রকেট হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন বলে, ইউক্রেনের কর্মকর্তারা রবিবার জানান।
কর্মকর্তারা বলছেন চ্যাসিভ ইয়ার শহরের ঐ ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মানুষ আটকা থাকতে পারে।
দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে শনিবার আরও প্রবল রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলার খবর জানিয়েছে ইউক্রেন। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের খারকিভ শহরে এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনজন বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে সেখানকার গভর্নর জানান। তবে, মূল রুশ হামলাটি পূর্বাঞ্চলের ডনব্যাস অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে।
লুহানস্ক ও ডনেটস্ক, উভয় এলাকাতেই হামলার খবর জানিয়েছে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। অপরদিকে, ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলে, সমগ্র রাশিয়া থেকে অতিরিক্ত রিজার্ভ বাহিনীগুলোকে ইউক্রেনের কাছাকাছি নিয়ে আসা হচ্ছে।
ডনব্যাসের ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের মতে, কয়েকদিন আগে অভিযানে রাশিয়া ঘোষিত বিরতিটি বাস্তবে রূপ নেয়নি।
ডনেটস্ক-এর গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো টেলিগ্রাম ম্যাসেজিং সার্ভিসের মাধ্যমে জানান যে, ড্রুঝখিভকা-তে একটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ফ্রন্টলাইনের ঠিক পিছনে অবস্থিত শহর ড্রুঝখিভকা। এছাড়াও অন্যান্য জনবসতিতেও গোলাবর্ষণের খবর জানানো হয়।
লুহানস্ক-এর গভর্নর সের্হি হাইদাই টেলিগ্রামে জানান, রুশ বাহিনী “সমগ্র ফ্রন্টলাইন জুড়েই গোলাবর্ষণ করছে”, যদিও অস্ত্র ও গোলাবারুদের গুদামে ইউক্রেনের এক পাল্টা হামলা রাশিয়াকে আগ্রাসন থামাতে বাধ্য করেছে।
গত সপ্তাহান্তে লুহানস্কের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দাবি করে রাশিয়া। তবে, বেসামরিক মানুষদেরকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা।
এদিকে বিবিসি জানায়, দক্ষিণাঞ্চলে ইউক্রেনের বাহিনী মিকোলায়েভ প্রতিরক্ষা করছে। ওডেসার পথে সেটি একটি কৌশলগত নদী বন্দর। ওডেসাই ইউক্রেনের প্রধান রফতানি কেন্দ্র। ওডেসা থেকে জাহাজে শস্য রফতানিতে রুশ নৌবাহিনী এখনও ইউক্রেনকে বাধা দিচ্ছে।
ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক দক্ষিণাঞ্চলের খেরসন ও ঝাপোরিঝিয়ার রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে অনুরোধ করেছেন। এমন সতর্কতা সেখানে আরও ইউক্রেনীয় পাল্টা হামলার আভাস বলে ধারণা করা হচ্ছে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।