ঝাপোরিঝিয়ার পারমাণবিক কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক পরিদর্শনকারীদের প্রবেশাধিকার দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। ঐ স্থাপনাটিতে সাম্প্রতিক গোলাবর্ষণের ঘটনার জন্য এর আগে ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরকে দোষারোপ করে।
জাপানে এক সংবাদ সম্মেলনে গুতেরেস বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে কোন হামলাই “এক আত্মঘাতী কাজ”।
ইউরোপের এই বৃহত্তম ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার জন্য, ইউক্রেন রবিবার আবারও রাশিয়াকে অভিযুক্ত করে। ইউক্রেন অভিযোগ করে বলে যে, রাশিয়া “পারমাণবিক সন্ত্রাসমূলক” কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছে।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠানটি বলেছে যে, রুশ বাহিনী শনিবার রাতের হামলায় ঐ স্থাপনার তিনটি তেজস্ক্রিয়তা সনাক্তকারী যন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এছাড়াও এক কর্মীও আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অবস্থিত। সেটিতে শুক্রবারও হামলা করা হয়েছিল। রাশিয়া হামলার জন্য ইউক্রেনের বাহিনীকে দায়ী করেছে।
ইউক্রেনে হামলার প্রাথমিক পর্যায়ে, মার্চের শুরুতে রাশিয়া ঝাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দখল করে নেয়। তবে, স্থাপনাটি এখনও ইউক্রেনের টেকনিসিয়ানরাই পরিচালনা করছে।
ইউক্রেনের পারমাণবিক কোম্পানী, এনেরগোঅ্যাটম বলে যে, শনিবার চালানো রুশ রকেট হামলাগুলো একটি সংরক্ষণাগারে আঘাত হানে। ঐ স্থাপনাগুলোতে উন্মুক্ত স্থানে ১৭৪টি কন্টেইনার রাখা ছিল, যেগুলোতে ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানী সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি বলে, “এর ফলে, তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে বা ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানী ভর্তি কন্টেইনারগুলো থেকে তেজস্ক্রিয়তা বের হতে থাকলে, তা সময়মত সনাক্ত করা ও তাতে সাড়া দেওয়া এখন আর সম্ভব হবে না।”
দখলকৃত এনেরহোদারে রুশ-স্থাপিত প্রশাসন বলে যে, ইউক্রেন ২০০ মিলিমিটার উরাগান মাল্টিপল রকেট লঞ্চার সিস্টেম ব্যবহার করে সেখানে আঘাত করে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কর্মীরা এনেরহোদারে বসবাস করেন। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।