পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আফগানিস্তানের তালিবান শাসকদের সাথে সহযোগিতামূলক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি সতর্ক করেছেন যে, পারস্পরিক উত্তেজনা তাদের দেশের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টাকে “অনন্তকালের বিপর্যয়কর যুদ্ধে” পরিণত করতে পারে।
ইমরান খান রাজধানী ইসলামাবাদে একটি সেমিনারে বক্তৃতা করেন। সন্ত্রাসবাদের নতুন একটি তরঙ্গ পাকিস্তানে, বিশেষ করে দেশটির আফগান সীমান্তের কাছে এর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোকে গ্রাস করছে।
বেশিরভাগ সহিংসতার জন্য পাকিস্তানি তালিবান নামে পরিচিত নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত জঙ্গিদের দায়ী করা হয় বা তারা জঙ্গিরা নিজেরাই দায় স্বীকার করে।
ইমরান খান আফগান তালিবানের কার্যকর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে “বিপজ্জনকভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন” বিবৃতি জারি করে এবং টিটিপি-র নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হুমকি মোকাবিলায় সহযোগিতা চাওয়ার পরিবর্তে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপড়েন সৃষ্টি করার জন্য তার উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সরকারকে দোষারোপ করেছেন ।
টিটিপি আফগান তালিবানের একটি শাখা হিসেবে পরিচিত। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনীর বিরুদ্ধে তালিবানের দুই দশকের সফল বিদ্রোহের জন্য তারা তালিবানকে আশ্রয় এবং নিয়োগ দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সমস্ত বিদেশি সৈন্যকে আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হলে ইসলামপন্থী বিদ্রোহীরা ২০২১ সালের আগস্টে দেশটির ক্ষমতা দখল করে।
গত এক দশক ধরে সীমান্ত এলাকায় টিটিপি ঘাঁটির বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অব্যাহত অভিযান জঙ্গিদেরকে তাদের আফগান আস্তানায় পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।
আফগান তালিবান গোষ্ঠী এমন অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে যে তারা টিটিপিসহ যেকোনো গোষ্ঠীকে তাদের সন্ত্রাসবাদের প্রতিশ্রুতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে পাকিস্তান বা অন্যান্য দেশকে হুমকি দেয়ার অনুমোদন দিচ্ছে।
শরীফ এবং তার সহযোগীদের অভিযোগ, ইমরান খানের টিটিপি-র সাথে আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত দলটিকে পাকিস্তানে সাম্প্রতিক উপর্যুপরি সন্ত্রাসবাদ শুরু করতে উৎসাহিত করেছিল। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।