News update
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     
  • Sudan war becomes more deadly: Ethnically motivated attacks up     |     
  • Dhaka's RMG exports reach $38.48 bn in 2024: New markets up     |     
  • Bangladesh’s GDP Growth to Decline to 4.1% in FY25: WB     |     

গাজায় নিহত ছাড়াল সাড়ে ১১ হাজার

গ্রীণওয়াচ ডেক্স সংঘাত 2023-11-16, 11:07am

resize-350x230x0x0-image-248116-1700103579-dc88cc908a642a6709f558b2d1893dd01700111259.jpg




গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৪ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি শিশু। এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও তিন হাজারের বেশি।

এমনকি ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে চিকিৎসা কর্মীদের সংখ্যা ২০০ জনে পৌঁছেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বুধবার জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে ৪ হাজার ৭১০ শিশু এবং ৩ হাজার ১৬০ জন নারী রয়েছেন।

এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত চিকিৎসা কর্মীদের সংখ্যা ২০০ ছুঁয়েছে বলেও গাজার এই অফিস টেলিগ্রামে দেওয়া ওই বিবৃতিতে বলেছে।

তারা আরও বলেছে, হামলায় ২২ জন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী এবং ৫১ জন সাংবাদিকও নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গাজায় এসব হামলায় আহত ফিলিস্তিুনিদের সংখ্যা ২৯ হাজার ৮০০ ছুঁয়েছে। আহতদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বলেছিল, হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নিহতদের এ সংখ্যা কিছুটা সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলেছে, নিহতের এ সংখ্যা বিশ্বাসযোগ্য।

বুধবারের এই বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি হামলায় ৯৫টি সরকারি ভবন ও ২৫৫টি স্কুল ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনটি গির্জা ছাড়াও প্রায় ৭৪টি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ১৬২টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ৫২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ৫৫টি অ্যাম্বুলেন্সকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে। এ ছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির ২৫টি হাসপাতালে পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের ভেতরে অনেক রোগী, আহত ব্যক্তি এবং বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের পাশাপাশি বেশ কিছু চিকিৎসা ও নার্সিং কর্মীদের ওপরও আক্রমণ করেছে, তাদের পোশাক খুলতে বাধ্য করেছে এবং অপমান করেছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে গাজার সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে অভিযান চালায় ইসরায়েলি সৈন্যরা। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা আল-শিফা হাসপাতালের নির্দিষ্ট এলাকায় হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে।

হাসপাতালটিতে হামাসের ঘাঁটি রয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। এ ছাড়া ইসরায়েলের এই দাবিকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্রও জানিয়েছে, তাদের কাছেও আল-শিফা হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গে হামাসের একটি ‘কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টার’ থাকার তথ্য রয়েছে।

তবে এ দাবি অস্বীকার করেছে হামাস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি অভিযানের নিন্দা জানিয়ে একে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।