২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেন জুড়ে রাশিয়ার “সবচেয়ে ব্যাপক বিমান হামলার” বিষয়ে শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠক করেছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানান ওই বিমান হামলায় রাশিয়া ইউক্রেনে ১২২টি ক্ষেপণাস্ত্র ও কয়েক ডজন ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। ।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যমিত্রো কুলেবা বলেছেন, হামলার পরে ইউক্রেন ও জাতিসংঘের অন্য ৩৬টি সদস্য রাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের জন্য অনুরোধ করেছিল। ওই হামলায় “বহু বেসামরিক লোকের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এবং বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।”
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ১৬০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ মনে করছে, অন্যরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। তারা জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি এক্স (পূর্বনাম টুইটার)-এ তার এক পোস্টে বলেন, “আজ রাশিয়া তার অস্ত্রাগারের প্রায় সব ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছেঃ ‘কিন্ডজালস’, এস-থার্টি, ক্রুজ মিসাইল এবং ড্রোন... ইউক্রেনের ওপর মোট ১১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল, যেগুলোর বেশিরভাগই গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। ”
তিনি বলেন, রাশিয়া একটি প্রসূতি হাসপাতালকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়েছে।
কিয়েভ, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভ, পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লেভিভ, পূর্বাঞ্চলীয় শহর ডিনিপ্রো ও জাপোরিঝিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব বন্দর শহর ওডেসাতে সরকারি ভাবে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনসহ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। তারা এটিকে ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধে রাশিয়ার “গতি ফিরে পাওয়ার একটি মরিয়া ও নিরর্থক প্রচেষ্টা” বলে অভিহিত করেছে।
জাতিসংঘে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, “তারা সফল হবে না।”
.জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তার মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিচ এক বিবৃতিতে একথা জানান।
দুজারিচ বলেন, “বেসামরিক নাগরিক এবং বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর হামলা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন, এটি অগ্রহণযোগ্য এবং অবিলম্বে শেষ হওয়া উচিত।” ভয়েস অফ আমেরিকা