কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসক গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বলে যে দাবি তা উড়িয়ে দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। ছবি: সংগৃহীত
কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসক গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বলে যে দাবি তা উড়িয়ে দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)।
সংস্থাটি বলেছে, ওই চিকিৎসককে গণধর্ষণ করা হয়নি। তাকে ধর্ষণ ও হত্যার জন্য দায়ী একজনই। আর তিনি হলেন সঞ্জয় রায়। সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।
গত ৯ আগস্ট কলকাতা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন। এ ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ ও এর বাইরেও ব্যাপক বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু হয়।
গত ১৩ অগস্ট কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে সিএফএসএল কলকাতায় ডিএনএ রিপোর্টের জন্য নমুনা জমা দেয়া হয়। নমুনার মধ্যে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার তরুণী চিকিৎসকের দেহ থেকে উদ্ধার ভ্যাজাইনাল সোয়াব, নখে আটকে থাকা ত্বক এবং ঘটনাস্থলে পাওয়া চুলের নমুনা জমা দেয়া হয়।
এছাড়া তার পোশাক, কম্বল ও চাদরও নমুনা হিসেবে জমা পড়ে। সঙ্গে আটক আসামি সঞ্জয় রায়ের রক্তের নমুনা ও ঘটনার রাতে তার পরনে থাকা পোশাকও জমা দেয়া হয়। সিএফএসএল বিশেষজ্ঞরা এসব নমুনার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন।
সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত জিনিসপত্রের সঙ্গে সঞ্জয়ের ডিএনএ-র মিল পাওয়া গেছে। সিবিআই সূত্র জানিয়েছে, তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় একজনের বেশি ব্যক্তির যুক্ত থাকার কথা নয়।
সূত্রের আরও খবর, সিবিআই ১০০টিরও বেশি বক্তব্য ও বিবৃতি রেকর্ড করেছে এবং ১০টি পলিগ্রাফ পরীক্ষা করেছে। যার মধ্যে হাসপাতালের সাবেক প্রধান ডাক্তরা সন্দীপ ঘোষও রয়েছেন। সিবিআই জানিয়েছে, ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে একের বেশি কেউ জড়িত ছিল বলে বিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই।
এমন খবরের পরই সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলটির এক্স হ্যান্ডলে বলা হয়েছে, ২৪ দিনের নিষ্ক্রিয়তার পর সিবিআই যা জানাল, তা ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা পুলিশ বলে দিয়েছিল।
তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রায়ই একমাত্র অপরাধী। বিজেপির ছড়ানো ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব ফাঁস হয়ে গেছে। দ্রুত চার্জশিট ফাইল করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হোক। তা নাহলে নির্যাতিতার সঙ্গে অবিচার হবে।