নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। ইসরাইল ও বিরোধী সংগঠনগুলো ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান দ্বন্দ্বকে আরো জটিল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় সময় শনিবার (৯ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই এক বিবৃতিতে এই অভিযোগগুালোকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং অপ্রমাণিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এর আগে নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রের দায়ে একজন ইরানি ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে মার্কিন সরকার।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দেশটির বিচার বিভাগ ফরহাদ শাকেরি (৫১) নামে এক ইরানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনে। অভিযোগে বলা হয়, ২০২০ সালে বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে ওই হত্যাচেষ্টা চালায় ইরান।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ইরান সরকার শাকেরিকে সাত দিনের মধ্যে হত্যার পরিকল্পনা জমা দিতে বলে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচনের পরে হত্যা করা সহজ হবে বলে শাকেরিকে জানানো হয়েছিল। কেননা ইরান সরকার মনে করতো ট্রাম্প নির্বাচনে জিতবেন না।
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিশ্বে ইরানের মতো অনেকেই আছে যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। বিচার বিভাগ ইরানি একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। যাকে মার্কিনিদের হত্যা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পও রয়েছেন।’
এদিকে, মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন বলছে, ট্রাম্প ক্ষমতায় বসেই ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতির প্রয়োগ করতে পারেন। এর আগে, ২০১৮ সালে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে বের হয়ে আসার পর ট্রাম্প এ নীতির প্রয়োগ করেছিলেন। এ সর্বোচ্চ চাপ বলতে মূলত ইরানের বিরুদ্ধে বিপুলসংখ্যক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প।
ইরানকে সর্বোচ্চ চাপে রাখার নীতি থেকে সরে দাঁড়াতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তেহরান। শনিবার এ আহ্বান জানান ইরানের কৌশলগত বিষয়াদি-সংক্রান্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট জাভাদ জারিফ।
ট্রাম্প ইরানকে ঘিরে অতীতের নীতি পুনরায় অনুসরণ করবেন না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি ট্রাম্পকে সতর্ক করে বলেন, এর আগে সর্বোচ্চ চাপের নীতি হাতে নেয়ার পরেই তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিল।
এর আগে, মার্কিন নির্বাচনের দিন, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র দেখতে চান না বলে মন্তব্য করেন।