News update
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     
  • Container ships to ply between Mongla and Chattogram ports     |     
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     

ইউক্রেনের সঙ্গে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতেও রাজি পুতিন: রিপোর্ট

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-03-09, 6:54am

f712b31a9a121633511de0fe9f7efa8b59b22916185c529a-c313fcc018235a4c22c7e3cec3b891d01741481683.jpg




ইউক্রেনে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতেও প্রস্তুত রাশিয়া। তবে এ জন্য চূড়ান্ত শান্তি চুক্তির দিকে বাস্তব অগ্রগতি থাকতে হবে। মস্কোর অভ্যন্তরীণ নীতি সম্পর্কে অবগত ব্যক্তিদের বরাতে এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।

গত মাসে সৌদি আরবের রিয়াদে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে রুশ কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। প্রতিবেদন মতে, সেখানেই সাময়িক যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সেই যুদ্ধবিরতি আগামী দিনে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চূড়ান্ত শান্তি সমঝোতার পথ খুলে দিতে পারে। তিন বছর পর শান্তি ফিরতে পারে পূর্ব ইউরোপে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরই তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের অবসানে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার বার্তা দেন ইউক্রেনকে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে এ বিষয়ে দ্রুত কূটনৈতিক পন্থা অবলম্বনের পরামর্শ দেন তিনি।

কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের অনড় মনোভাব শান্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলছেন, তিনি শান্তি চান। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বকে ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

শুরু থেকেই রাশিয়ার প্রতি নরম-গরম নীতি নিয়েছেন ট্রাম্প। কখনও তিনি রাশিয়ার পণ্যে আরও শুল্ক আরোপ এবং আরও বিধিনিষেধের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। কখনও আবার তার মুখেই শোনা যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভূয়সী প্রশংসা।

শুক্রবারও (৭ মার্চ) হোয়াইট হাউসে বসে ট্রাম্প জানান, পুতিনকে তিনি বিশ্বাস করেন। পুতিন যুদ্ধ থামাতে আগ্রহী। এমনকি তিনি বলেনন, ইউক্রেনের চেয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করা তার কাছে বেশি সহজ বলে মনে হচ্ছে।

অনেকে বলছেন, রাশিয়া যদি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়ও, তারা একটি শান্তিরক্ষা মিশন স্থাপনের বিষয়ে জোর দেবে। সেই মিশনে কোন কোন দেশ থাকবে, তা-ও চুক্তির শর্তের অন্তর্ভুক্ত করতে চাইতে পারে ক্রেমলিন।

ট্রাম্পের ‘রাশিয়া প্রীতি’ ইউক্রেন তো বটেই, ইউরোপের বন্ধু দেশগুলোর মধ্যেও ভীতির সঞ্চার করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। সেই কারণেই ওভাল অফিসে জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের প্রকাশ্য বিবাদের পর ইউরোপের বহু দেশ ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে।

তাদের আশঙ্কা, রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করতে ইউক্রেনকে বাধ্য করবেন ট্রাম্প। তা ইউরোপের অধিকাংশ দেশ চাইবে না। জেলেনস্কির সঙ্গে বাগবিতণ্ডার পর ইউক্রেনের সামরিক সাহায্য স্থগিত করে দিয়েছেন ট্রাম্প। এরপর কিয়েভকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহও বন্ধ করেছে তার সরকার।

এদিকে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার উপর আমেরিকা যে যে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল, সেগুলো ক্রমে তুলে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে খবরে বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সৌদি আরবে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, একই সময় সৌদি বাদশাহর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন জেলেনস্কি। তবে আমেরিকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি থাকবেন না। থাকবেন তার প্রতিনিধিরা। গত মাসেই সৌদি যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু রুশ ও মার্কিন বৈঠকের কারণে সৌদি সফর বাতিল করেন তিনি।