News update
  • Tarique Rahman to Return Home With Daughter on Dec 25     |     
  • ILO praises Bangladesh’s labour reforms, new milestones     |     
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     
  • Bangladesh rejects India’s advice; vows free, fair polls     |     

হামাসকে ‘লোভনীয় প্রস্তাব’ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, অর্থায়নের নেপথ্যে কারা?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-04-21, 8:27am

gretrewre-f5625d04c988fd93175094b8ca6f49111745202469.jpg




গোপনে গাজা ত্যাগ ও নিরস্ত্রীকরণের জন্য হামাসকে দুই বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরিবারসহ নিরাপদে দেশত্যাগের মতো সুবিধাও ছিল সেই প্রস্তাবে। তবে একবাক্যে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেন হামাসের শীর্ষ নেতারা।

গাজায় ইসরাইল শুধু অস্ত্রের যুদ্ধ নয়, চালাচ্ছে মনস্তত্ত্বের যুদ্ধও। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নির্মূলে নানা পায়তারা করছেন নেতানিয়াহু। একের পর এক হামাসের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করেও ফিলিস্তিনের এ সংগঠনকে দমাতে ব্যর্থ ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র। 

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত একটি প্রস্তাব পৌঁছে যায় হামাসের কাছে। প্রস্তাবে বলা হয়, নিরস্ত্রীকরণের পর যদি যুদ্ধের ময়দান থেকে সরে গিয়ে পরিবার নিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যায়, তবে সংগঠনটিকে দেয়া হবে দুই বিলিয়ন ডলার।

তালিকায় ছিলেন গাজা প্রতিরোধের তিন গুরুত্বপূর্ণ নাম—মোহাম্মদ সিনওয়ার, মোহাম্মদ শাবানেহ ও আজ-আল-দিন আল-হাদ্দাদ। প্রতিটি নামই আজ প্রতীক প্রতিরোধের, সাহসিকতার। মোহাম্মদ সিনওয়ার, শহীদ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ভাই, বর্তমানে গাজার প্রতিরোধ নেতৃত্বে। 

ইসরাইল বহুবার তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তার ‘মাথার দাম’ ঘোষণা করেছে তিন লাখ ডলার। মোহাম্মদ শাবানেহ বর্তমানে চারটি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার। নিজ সন্তানদের হারিয়েও তিনি অনড়। আর আজ-আল-দিন আল-হাদ্দাদ ৭ অক্টোবরের ঐতিহাসিক হামলার আগের দিন ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সম্মুখ প্রতিরোধের নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

সহজ ভাষায়, এ প্রস্তাব অর্থে মোড়া এক আত্মসমর্পণপত্র ছিল। অর্থের মোহে হামাস নেতাদের বিক্রি হয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। টাকা দিয়ে কিনে নিতে চেয়েছিল ফিলিস্তিনের এ সংগঠনের নীরবতা। 

 তবে লোভনীয় এ প্রস্তাবে বিচলিত হননি হামাস যোদ্ধারা। তারা তা প্রত্যাখ্যান করে সাফ জানিয়ে দেন, বিক্রি হবেন না। বলেন, এ অস্ত্র তাদের গর্ব ও আত্মরক্ষার প্রতীক। 

ইসরাইলি গণমাধ্যম ওয়াইনেট-এর সাম্প্রতিক তথ্যানুযায়ী, কে এই অর্থ দিচ্ছে তা জানা যায়নি। তবে গণমাধ্যমটির দাবি, মধ্যপ্রাচ্যের কিছু প্রভাবশালী রাষ্ট্র থাকতে পারে এই অর্থায়নের নেপথ্যে।