
পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন তৈরি জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার পরিকল্পনা অনুমোদনের এক সপ্তাহের মধ্যেই ‘অজ্ঞাত’ ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) উত্তর কোরিয়ার ছোড়া এই ক্ষেপণাস্ত্রটি পূর্ব সাগরে গিয়ে পড়ে, যা জাপান সাগর নামেও পরিচিত। খবর এএফপির।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেন, ‘পূর্ব সাগরে উত্তর কোরিয়া একটি অজ্ঞাত ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি দেশটি সফরের সময় এক ঘোষণায় বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরি করতে পারে। এই প্রযুক্তি খুবই স্পর্শকাতর এবং এর সামরিক গোপনীয়তা খুব কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়।
প্রচলিত ডিজেল চালিত সাবমেরিনগুলোকে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে জ্বালানি সংগ্রহ বা ব্যাটারি চার্জ করতে হয়। অন্যদিকে পারমাণবিক সাবমেরিনগুলো অনেক সময় ধরে পানিতে ‘ডুব’ দিয়ে থাকতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন যুক্ত হলে তা দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী ও প্রতিরক্ষা ভিত্তিক শিল্পের জন্য তা হবে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। এরফলে তারা বিশ্বের কিছু নির্দিষ্ট দেশের কাতারে চলে আসবে যারা এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
গণমাধ্যম ও বিশ্লেষকদের তথ্য অনুযায়ী, কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, চীন, রাশিয়া, ভারত, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিনের প্রযুক্তি রয়েছে।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের অনুমোদনের পর সিউলের দরকার পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিনের জন্য কাঁচামাল। তবে এই ধরনের কাঁচামাল ব্যবহারে সামরিক বিধিনিষেধ রয়েছে।
২০১৯ সালে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ট্রাম্পের শীর্ষ বৈঠকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও অবরোধ তুলে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই উত্তর কোরিয়া নিজেদের ‘অপরিবর্তনীয়’ পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে দাবি করে আসছে।