News update
  • Election delay anti-democratic, against July-August spirit      |     
  • Bodies of 3 students recovered from two rivers in Rangpur     |     
  • BRICS Summit Opens Amid Tensions, Trump Tariff Fears     |     
  • Musk Launches 'America Party' in Fresh Split with Trump     |     
  • Israel to send negotiators to Gaza talks     |     

রমজানেও চলছে অশ্লীল সিনেমা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সিনেমা 2024-04-06, 6:37am

images-3-e962f83a5cc3dedb252a249ae4795aaf1712363923.jpeg




চলছে পবিত্র মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার এ মাসেও দিনে-দুপুরে অশ্লীল সিনেমা চলছে রাজধানীর এক প্রেক্ষাগৃহে। শুধু অশ্লীল সিনেমাই নয়; খবর আছে, প্রেক্ষাগৃহটিতে অবাধে চলছে মাদক সেবন ও দেহ ব্যবসাও।

সূত্রের তথ্য ধরে, রমজানের এক বিকেলে ঢুঁ মারা হয় পুরান ঢাকার আজাদ সিনেমা হলে। ভবনের সামনে যেতেই চোখে পড়ে দেওয়ালে সাঁটানো অশ্লীল সিনেমার পোস্টার। তাতে শোভা পাওয়া ছোট পোশাক পরিহিত চিত্রনায়িকা পলির অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি যেনো সাক্ষী দিচ্ছে বাংলা সিনেমার কালো অধ্যায়ের। পোস্টারে নায়িকার খোলামেলা স্থিরচিত্রে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন পথচারী ও হলে প্রবেশে উন্মুখ দর্শকরাও।

টানা দুদিনের অনুসন্ধানে এলাকাবাসীর কাছ থেকে পাওয়া যায় বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। অশ্লীল সিনেমার পাশাপাশি হলটিতে অবাধে চলছে মাদক সেবন আর দেহ ব্যাবসাও। বিষয়টি নিয়ে ভয়ে কথা বলতে চাননি অনেকেই, তবে অনেক চেষ্টার পর মুখ খোলেন কেউ কেউ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রায়সাহেব বাজারের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এই হলের ভিতর দেহ ব্যবসা হয়। টাকার বিনিময়ে মেয়ে নিয়ে অনেকে ঢুকে, এরপর খারাপ কাজ করে। অন্য একজন জানান, মাদকসেবীরা সারাদিনই নেশায় বুঁদ হয়ে বসে থাকে হলের ভিতর।

অথচ প্রশ্ন করা হলে অনৈতিক কার্যকলাপের কথা ধুয়ে অস্বীকার করেন প্রেক্ষাগৃহের কর্মকর্তারা। বলেন, এই হলে না কি কেউ সিগারেট পর্যন্ত খায় না!

তবে অশ্লীল সিনেমা চালানোর ব্যাপারটি এড়িয়ে যেতে পারেন না তারা। সাফাই গেয়ে বলেন, নতুন সিনেমা নাই, তাই এসব চালান তারা। আর রগরগে পোস্টার দেখলে হলে লোক হয় ভালো।

প্রসঙ্গত, ঢাকার প্রথম আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ বলে খ্যাত এই আজাদ সিনেমা হল। তবে, ‘বি গ্রেড’ সিনেমার রমরমা আর রুচিহীন কর্মকাণ্ডে বহু আগেই এই হল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন সিনেমাপ্রেমীরা। বর্তমানে অনেকটাই জরাজীর্ণ অবস্থা ঐতিহ্যবাহী প্রেক্ষাগৃহটির। হলের ভিতরের পরিবেশ এতটাই গুমোট যে পরিত্যাক্ত ভুতুরে বাড়িও হয়তো এর চেয়ে কম ভয়ঙ্কর। দেওয়ালগুলো তাদের যৌবন হারিয়েছে অনেক আগেই। খসে পড়ছে ইট-সুরকি-সিমেন্ট। হলের ওপরে টিনের চালা, বেশিরভাগ ফ্যানই চলেনা এখন আর।

চলচ্চিত্রের সোনালি যুগের অবসানের পর নব্বই দশকের শেষের দিকে ঢাকাই চলচ্চিত্রে শুরু হয় কাটপিস সিনেমার আগ্রাসন। ২০০০ সালের দিকে বাংলাদেশের সিনেমায় বিচরণ শুরু হয় মুনমুন, ময়ূরী, পলি, ঝুমকাদের। ব্যাপকভাবে অশ্লীল দৃশ্যে অভিনয়ের অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। কাটপিসের দৌরাত্ম্যে হলবিমুখ হতে শুরু করেন সিনেমাপ্রেমী মানুষ। এরপর ব্যাপক আন্দোলনের মাধ্যমে সোনালী যুগ না ফিরলেও এখন একটি সুস্থ ধারা বইছে দেশের চলচ্চিত্রে। কিন্তু এর মাঝে কাটপিসের উঁকিঝুঁকি অশনি সংকেত দিচ্ছে চলচ্চিত্র শিল্পে। অশ্লীল সিনেমার প্রদর্শনী ও অসামাজিক কর্মকান্ডের ফলে নিজের শেষ অস্তিত্বটুকু হারিয়ে ফেলতে বসেছে প্রায় শত বছর পুরোনোআজাদ সিনেমা হল। আরটিভি নিউজ।