চীনের এক আদালত চীনা কানাডিয়ান পপ তারকা ক্রিস উ-কে ধর্ষণসহ একাধিক অপরাধের দায়ে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
বেইজিংয়ের চাওইয়াং ডিস্ট্রিক্ট আদালত বলে যে, ২০২০ সালের এক ধর্ষণের জন্য উ-কে ১১ বছর ছয়মাসের সাজা দেওয়া হয়। এছাড়া ২০১৮ সালের এক অনুষ্ঠানে “যৌন অশ্লীলতার উদ্দেশ্যে একদল মানুষকে সমবেত করার অপরাধে” এক বছর ১০ মাসের সাজা দেওয়া হয় তাকে। অভিযোগ রয়েছে যে, ঐ অনুষ্ঠানে উ এবং অন্যরা দুইজন নারীকে মাতাল বানিয়ে তাদের নিপীড়ন করেন।
আদালত বলে যে, ধর্ষণের মামলায় শিকার তিন নারীকেও মদ্যপ করা হয়েছিল এবং তারা সম্মতি জানাতে অপারগ ছিলেন।
আদালত জানায় যে, ১৩ বছরের সামষ্টিক কারাদণ্ডের বিষয়ে ঐকমত্য হয় এবং কারাবাস শেষে উ-কে অবিলম্বে বহিষ্কার করে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
অনলাইনে প্রকাশিত আদালতের এক বিবৃতিতে বলা হয় যে, কানাডার এক কূটনীতিবিদ মামলার রায় শুনতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
কারাদণ্ড ছাড়াও উ-কে ৬০ কোটি ইউয়ান (৮ কোটি ৩৭ লক্ষ ডলার) জরিমানা করা হয়েছে। তার পারফরম্যান্স, বিজ্ঞাপন ও অন্যান্য উৎস থেকে করা আয়গুলো ব্যাপকভাবে কমিয়ে ঘোষণা করে কর ফাঁকি দেওয়ার দায়ে এই জরিমানা করা হয়েছে।
৩২ বছর বয়সী উ দক্ষিণ কোরিয়ার ইএক্সও দলের সাবেক সদস্য । ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের গোপনীয়তা রক্ষায় উ এর বিরুদ্ধে জুন মাসের মামলাটি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল না।
উ ২০২১ সালের আগস্ট মাস থেকে আটক রয়েছেন। সে সময়ে পুলিশের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয় যে, তিনি যৌনতায় লিপ্ত হতে “বারবার কমবয়স্ক নারীদের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসেন” – অনলাইনে এমন মন্তব্যের জের ধরে পুলিশ একটি তদন্ত চালায়।
সেই বছর এক কিশোরী অভিযোগ করেন যে তিনি মদ্যপ থাকা অবস্থায় তার সাথে উ যৌনসঙ্গম করেছেন। উ অভিযোগটি প্রত্যাখ্যান করেন। উ চীনা ভাষায় উ ইফান নামে পরিচিত।
ঐ কিশোরী পরে বলেন যে, আরও সাতজন নারী তার সাথে যোগাযোগ করে তাকে জানিয়েছেন যে, উ তাদেরকেও চাকরি ও অন্যান্য সুযোগের প্রলোভন দেখিয়েছিলেন। ঐ কিশোরী বলেন যে, তাদের মধ্যে কারো কারো বয়স ১৮ বছরের কম ছিল। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।