News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়ি সংস্কারের উদ্যোগ

গ্রীণওয়াচ ডেক্স সেলিব্রিটি 2023-11-08, 9:56am

resize-350x230x0x0-image-246962-1699378607-f4395cb09ad9b1fa86515bb5ae1d10821699415798.jpg




উপমহাদেশের বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের পাবনার পৈতৃক বাড়ি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ জন্য সোমবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসক মো. আসাদুজ্জামান শহরের হেমসাগর লেনে অবস্থিত সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়ি পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের নেতাদের সঙ্গে সার্বিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।

পাবনার জেলা প্রশাসনক মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরিফ আহম্মেদ, সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. রামদুলাল ভৌমিক, পাবনা প্রেস ক্লাব সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান, এনডিসি আবুল হাছনাত, সহকারী কমিশনার মনিরুল ইসলাম, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. নরেশ চন্দ্র মধু, পরিষদের নির্বাহী সদস্য মাজহারুল ইসলাম, সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ।

সভায় সুচিত্রা সেনের বাড়িতে কিভাবে সংগ্রহশালা হিসেবে আরও সুন্দরভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সরকারের কাছে সংগ্রহশালা করার যে প্রস্তাব রয়েছে, তা বাস্তবায়নের জন্য করণীয় নির্ধারণ করা হয়। বাড়িটিকে ঠিক রেখে বর্তমানে সংস্কারের জন্য এনডিসি আবুল হাসানাত এবং পরিষদের পক্ষ থেকে ড. নরেশ মধুকে সহযোগিতার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, প্রতিদিনই দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী বাড়িটি দেখার জন্য আসেন। বাড়িটির প্রতি সংস্কৃতিপ্রেমীদের গভীর ভালবাসা ও আবেগ রয়েছে। সুতরাং বাড়িটিকে সুন্দর দর্শনীয় রাখার প্রতি নজর দেয়া প্রয়োজন।

পরে জেলা প্রশাসক বাড়িটি ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং করণীয় বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেন। এ সময় ড. নরেশ মধু সুচিত্রা সেন কন্যা মুনমুন সেনের সাথে মুঠোফোনে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় করার সংযোগ স্থাপন করে দেন। পরস্পর মতবিনিময় করেন এবং জেলা প্রশসাক মুনমুন সেনকে পাবনায় তার পৈত্রিক বাড়ি দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানান।

সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. রামদুলাল ভৌমিক বলেন, দীর্ঘ বছর ধরেই বাড়িটিতে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা করার উদ্যোগ থমকে আছে। নবাগত জেলা প্রশাসক বাড়িটির বর্তমান অবস্থা দেখেছেন, মতবনিমিয় করেছেন। আমরা কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছি। আশা করবো এবার স্মৃতি সংগ্রহশালার কাজটা শুরু হবে।

জেলা প্রশাসক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বাড়িটি ঘিরে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল তা কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। মূল বাড়ির আদল ঠিক রেখে সংস্কারের চেষ্টা করবো।

জানা জায়, ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনা শহরের হেমসাগর লেনের এই বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সুচিত্রা সেন। তার পৈত্রিক নিবাস ছিল বৃহত্তর পাবনা জেলার বেলকুচি উপজেলার ভাঙাবাড়ি গ্রামে। নয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম। বাড়ির ছোটরা ডাকতেন রাঙাদি বলে। মা-বাবা নাম রেখেছিলেন রমা। পরিচালক সুকুমার দাশ গুপ্তের সহকারী নীতীশ রায় তার নাম বদলে রাখেন সুচিত্রা। কিন্তু পাবনার মহাকালী পাঠশালায় খাতায় কলমে তার নাম ছিল কৃষ্ণা দাশ গুপ্ত।

পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনের একতলা পাকা পৈত্রিক বাড়িতে সুচিত্রা সেনের শিশুকাল, শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। তার বাবা করুনাময় দাশগুপ্ত পাবনা মিউনিসিপ্যালিটির স্যানিটারী ইন্সপেক্টর পদে চাকুরী করতেন। মা ইন্দিরা দাশগুপ্ত ছিলেন গৃহিণী। শহরের মহাকালী পাঠশালায় পড়ালেখা শেষ করে সুচিত্রা সেন স্থানীয় পাবনা বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের ক’মাস আগে সুচিত্রা সেনের বাবা করুণাময় দাস গুপ্ত পাবনার সবকিছু ফেলে স্ব-পরিবারে ভারত চলে যান।

১৯৫২ সালে ‘শেষ কোথায়’ নামের একটি বাংলা ছবিতে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। অজ্ঞাত কারণে ছবিটি মুক্তি পায়নি। এরপর ১৯৫৩ সালে নায়িকা হয়ে তার অভিনীত প্রথম ছবি ‘সাত নম্বর কয়েদি’ ছবিটি মুক্তি পায়। ১৯৫৩ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ৩৫ বছর সুচিত্রা সেন একটানা বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেন। বাংলা ৫৬টি ও ৭টি হিন্দি মিলে মোট ৬৩টি ছবিতে নায়িকা হয়ে অভিনয় করেছেন এই মহানায়িকা। উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটি হয়ে বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন তোলেন। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি কোলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।