সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘বাবা, সামওয়ান’স ফলোয়িং মি’। অস্ট্রেলিয়ার বর্ণবাদের সত্য ঘটনা অবলম্বনে এটি নির্মাণ করেন শিহাব শাহীন। এ ছবির গল্পে উঠে এসেছে নির্মাতার মেয়ের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় ঘটে যাওয়া বর্ণবাদের ঘটনা। এতে বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন গুণী অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম। তিনি জানালেন, দেশটিতে থাকাকালে এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন তার মেয়েও।
শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, আমার মেয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ল’ পড়তে অস্ট্রেলিয়ায় যায়। সে প্রথম থেকেই ওখানে রেসিজমের (বর্ণবাদ) শিকার হয়েছে। এর ফলে ওকে রুম পরিবর্তন করতে হয়েছে। প্রথমে যে রুমে ও উঠেছিল, ওই রুম চেঞ্জ করে পাকিস্তানি ও ইন্ডিয়ানরা যে রুমে থাকে সেই রুমে তাকে দেওয়া হলো। তার মানে কি! ব্রাউনদের জায়গা আলাদা, হোয়াইটদের জায়গা আলাদা, ব্লাকদের জায়গা আলাদা। ব্রাউনরা আর ব্লাকরা এক জায়গায় থাকতে পারলেও হোয়াইটরা কখনোই কারও সঙ্গে মিশতে চায় না—এমন ঘটনা অস্ট্রেলিয়াতে আছে।
আরেকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে অভিনেতা বলেন, ও (মেয়ে) একদিন রাত করে ফিরছিল। তখন ওর কাছে নিজের পুরোনো গাড়ি বিক্রি করা টাকা ছিল। সেই টাকা নিয়ে যখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন হাইজ্যাকিংয়ের শিকার হয়। টাকাটা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দিলে ওকে স্ট্যাপ (ছুরিকাঘাত) করা হয়। এটা নিয়ে ওখানে পুলিশ কেস হয়েছিল, যা আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
শহীদুজ্জামান সেলিমের স্ত্রী অভিনেত্রী রোজী সিদ্দিকী জানান, এমন অনেক সময় গিয়েছে যখন মেয়ে অসহায় হয়ে বিপদে সাহায্য চাইলেও দেশ থেকে কিছুই করতে পারতেন না এই তারকা দম্পতি। সেসব দিনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তেন তারা।
অন্ধের মতো চেষ্টা করতেন কেউ মেয়েকে সাহায্য করুক। বাইরে যারা পড়াশোনা করে, তাদের পরিবারের কম-বেশি হতে অভিজ্ঞতা সবার রয়েছে।