News update
  • Dhaka’s mosquito menace out of control; frustration mounts     |     
  • 10-day National Pitha Festival begins at Shilpakala Academy     |     
  • Dhaka concerned at dwindling funds for Rohingyas     |     
  • Rohingya crisis in uncertainty; WASH sector faces challenges     |     
  • HRW delegation meets Commission of Inquiry on Disappearances     |     

অবশেষে জানা গেল ‘ইত্যাদি’র শুটিংয়ে ভাঙচুরের আসল কারণ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সেলিব্রিটি 2025-01-10, 8:07pm

ewewrqwrq-7e87fbc64d8288afcca58baa3866a3f21736518063.jpg




ঠাকুরগাঁওয়ে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ইত্যাদি অনুষ্ঠানে মারামারি ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে নির্ধারিত সময়ের আগেই পরিচালক হানিফ সংকেত অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেন। তবে মধ্যরাতে স্বল্পসংখ্যক দর্শক নিয়ে আবারও শুটিং শুরু হয়।

এ প্রসঙ্গে ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানের পরিকল্পক, নির্মাতা ও উপস্থাপক হানিফ সংকেত একটি গণমাধ্যমকে বলেন, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এখানে কোনো ঝগড়া নেই, মারামারি নেই, হামলা নেই। সবাই পরে খুব দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, ‘আপনাদের ভালোবাসে, এটা তো অন্যায় না। ভালোবাসি বলেই এই ঘটনা ঘটেছে।’ এখানে কেউই মারামারি করতে আসেনি, হামলাও করতে আসেনি। এখানে এসেছিল উৎসুক জনতা। তারা এসেছে ‘ইত্যাদি’ দেখবে, আমাদের দেখবে, ‘ইত্যাদি’র শুটিং দেখবে বলে।

ঘটনার সূত্রপাতের বিষয়ে তিনি বলেন, অনুষ্ঠান শুরু করি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। সাড়ে ৬টা কি ৮টার সময় ঘটনার সূত্রপাত, যখন আমি মঞ্চে উঠলাম। ওঠার পর যখন কথা বললাম, তখনই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এরপর একটা নাচ করলাম। তারপর রবি চৌধুরী ও লিজার গানের অর্ধেকটা করলাম, তখন সেকেন্ড বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এক থেকে দেড় ঘণ্টা অনুষ্ঠানের দৃশ্যধারণ বন্ধ রেখে রাত সাড়ে ৯টা কি ১০টার দিকে আবার শুরু করেছি। দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শুটিং করেছি।

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের রাজবাড়িতে শুটিংয়ের কারণ জানিয়ে হানিফ সংকেত বলেন, আমরা কোনো মাঠে এই অনুষ্ঠানের রেকর্ডিং করি না। সাধারণত যেকোনো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বা দেশের কোনো ঐতিহ্যবাহী স্থানে আমরা অনুষ্ঠানটা করি। ঠাকুরগাঁওয়ে এ রকম কিছু নেই। তারপরও আমরা জানতে পেরেছি, রানীশংকৈল উপজেলায় টংকনাথের রাজবাড়ি নামে একটি জমিদারবাড়ি আছে, যেটা খুবই বিখ্যাত, প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনও। এরপর আমরা ওখানকার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বললাম। তারা বললেন, ‘এটা তো গ্রামীণ এলাকা, এখানে অত লোক পাবেন? অন্য জায়গায় করা যায় কি না, ঠাকুরগাঁওয়ে।’ আমি তখন বলেছি, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে করব না। আমরা তো মাঠে করি না।’ তখন তারাও বলছিলেন, ‘দর্শক না এলে হবে?’ আমি তখন বলেছি, ‘আমাদের দুই থেকে তিন হাজার দর্শক হলেই চলবে। আমরা তো স্থাপনার বাইরে যেতে পারব না।’

পাঁচ লাখের বেশি লোক হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনুষ্ঠানের আগে আমরা আট হাজার প্রবেশ পাস দিয়েছি। যেই আমি মঞ্চে এলাম, শুনলাম, চারদিক থেকে তিন কিলোমিটারের মতো রাস্তা প্যাকড। পাঁচ লাখের অধিক লোক। এত মানুষকে আমি কোথায় বসতে দেব। লোকজন বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে ঝাঁপিয়ে পড়ল। তখন তো ম্যাচাকার অবস্থা। ওখানে নারী আছেন, শিশু আছে, আছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এরপর হাউকাউ শুরু হয়ে গেল। পুলিশ থামানোর চেষ্টা করছে, আমিও করছি। অস্থির অবস্থা। কেউ চেয়ার–ছোড়াছুড়ি করছে।

হানিফ সংকেত বলেন, আসলে সেখানে সমস্যাটা হয়েছে কি, আমরা পরিস্থিতির শিকার হয়ে গেছি। আমরাও বুঝিনি যে এত লোক হবে। কর্তৃপক্ষও বোঝেনি যে এত লোক হবে। আমাদের জায়গাটা আসলে আরও বড় হওয়া উচিত ছিল।

অতীতেও এ ধরণের বিচ্ছিন্ন ঘটনা আরও হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ময়মনসিংহের ত্রিশালে ঘটেছে, ওখানেও কয়েক লাখ লোক হয়েছিল। এরপর তো ছাদ ভাঙার উপক্রম হয়েছিল। তেঁতুলিয়ায়ও যখন শুটিং করেছি, তখন ছাদ ভেঙে পড়ে গিয়েছিল। এমন ঘটনা আমার জীবনে নতুন নয়। তবে আমরা এত কিছুর মধ্যে অনুষ্ঠান একেবারের জন্যও বন্ধ করিনি। এবার যে এক থেকে দেড় ঘণ্টা স্থগিত করেছি, এ রকম হয়নি।

এদিকে, ঠাকুরগাঁওয়ে ইত্যাদির শুটিংয়ে রবি চৌধুরীও ছিলেন। ইত্যাদির সেটে ভাঙচুরের বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন সংগীতশিল্পী রবি চৌধুরী।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে ফেসবুকে ইত্যাদির সেটের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ইত্যাদির পুরো টিম আমাদের কিছু হয়নি আলহামদুলিল্লাহ। ১০ হাজার লোকের জায়গায় ২ লক্ষ লোক হয়ে গেছে। আর্মি এবং পুলিশের সহযোগিতায় শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। চারদিকে ভুয়া নিউজ। হায়রে ভিউ-পাগল কিছু মিডিয়া! আবারও প্রমাণিত হলো ইত্যাদির কোনো বিকল্প নেই। ইত্যাদি নাম্বার ওয়ান।

সংগীতশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজাও ভুয়া খবর না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনিও অংশ নিয়েছিলেন ইত্যাদির শুটিংয়ে। ফেসবুকে লিজা লিখেছন, গতকাল খুব সুন্দরভাবে আমরা “ইত্যাদি’’র নতুন একটি পর্ব ঠাকুরগাঁওয়ে শেষ করলাম। ইত্যাদি ঘিরে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভালোবাসা সামনে থেকে প্রত্যক্ষ করলাম। এ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা! অযথাই এসব ভুয়া খবর ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত না করার অনুরোধ রইল সম্মানিত সাংবাদিক ভাইদের প্রতি।

অন্যদিকে, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলাজুড়ে প্রায় ৩ হাজার প্রবেশ (গেট) পাশের ব্যবস্থা করেছিল ইত্যাদি কর্তৃপক্ষ। তবে অনুষ্ঠানে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। একপর্যায়ে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে ভাঙচুর ও মারামারির ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষ একাধিকবার পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। উপায় না পেয়ে অনুষ্ঠানের মাঝপথে এসে তা স্থগিত করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। আরটিভি