জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের প্রথম দিন বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক কার্য অধিবেশন শেষে ডিসিদের এসব কথা বলেন তিনি।
নূরজাহান বেগম বলেন, আহতদের কিছুটা অসন্তুষ্টি আছে, সেটা এক শতাংশও হবে না। যখন এক থেকে তিন সপ্তাহ বিছানায় পড়ে থাকে তখনতো একটা ট্রমা যায়। তারা গত ছয় মাস ধরে পা ভেঙে, চক্ষু হারিয়ে বসে আছেন। তবে এটা আস্তে আস্তে কমে যাবে। তাদের রিহ্যাবিলিটেশন করার পরিকল্পনাও রয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যদের সমন্বয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা যদি আমরা করতে পারি তাহলে কোনো অসন্তোষ থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা এ পর্যন্ত আন্দোলনে আহত ৪০ জনকে সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককে পাঠিয়েছি উন্নত চিকিৎসার জন্য। কখনও টাকার দিকে তাকাইনি।
এ সময় স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম দূর করতে আইন ও আইনের প্রয়োগে তিনি গুরুত্ব দেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতের শূণ্যপদ পূরণে অগ্রাধিকার দিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান এ সময় বলেন, জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে আমরা যা পেয়েছি তা হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের মধ্যে কিছু জায়গায় অসঙ্গতি যেমন- জনবল, অবকাঠামো আছে কিন্তু কার্যক্রম নেই, হাসপাতালের শয্যা নিয়ে সমস্যার কথা তারা বলেছেন। কিছু কিছু জায়গায় মেডিক্যাল কলেজের চাহিদা আছে, সেগুলো করার কথা বলেছেন। স্বাস্থ্যখাতে বৈষম্য দূর মন্ত্রণালয় একা করতে পারবে না, এখানে আমরা তাদের সাহায্য চেয়েছি। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, জেলা প্রশাসন এবং বিভাগীয় কমিশনার যদি সক্রিয়ভাবে সাহায্য করেন তাহলে আরেকটু ভালো স্বাস্থ্যসেবা আমরা দিতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, পাঁচ হাজার চিকিৎসক আমাদের প্রাথমিক স্তরেই প্রয়োজন। এছাড়া বিশেষজ্ঞ পদ এবং আধুনিক হাসপাতালের আমাদের পদের প্রয়োজনীয়তা আছে। পদ সৃষ্টি করার আর্থিক সিস্টেম একটি লম্বা প্রক্রিয়া। কিন্তু ইতোমধ্যে আমরা পাঁচ হাজার পদ সৃজনের কাজ শুরু করেছি। এই পদ যদি সৃষ্টি করে দিতে পারি তাহলে সমস্যার উত্তরণ হবে।
এর আগে, সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার কার্যালয়ে ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।