News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

ঋণের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান অর্থনীতিবিদদের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-12-19, 10:35am

73e3841f88c1fd1ea3e6020d5f619e3fb569731f3879e1ab-33ace9c4e3754a1c0d206a5f62c08b761734582926.jpg




দিন যত যাচ্ছে, ততোই জনগণের ঘাড়ে বাড়ছে রাষ্ট্রীয় ঋণ ও এর সুদের বোঝা। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে সুদ পরিশোধে ব্যয় হয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই ধারা অব্যাহত থাকলে সুদ পরিশোধের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। ঋণ ও সুদের ক্রমবর্ধমান চাপ থেকে মুক্তি পেতে তাই স্বল্প সুদের ঋণের উৎসগুলোর দিকে নজর দেয়ার পাশাপাশি অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে সরকারকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

রাজস্ব আদায় লক্ষ্যপূরণ করতে না পারায় প্রতিবছরই বাজেট ঘাটতি পূরণে ঋণের উপর নির্ভর করতে হয় সরকারকে। পরে যা শোধ হয় সুদে-আসলে। চলতি অর্থবছরে ঋণের সুদবাবদ প্রায় সোয়া এক লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা আছে। এর মধ্যে ৪২ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে প্রথম তিন মাসেই, যা বরাদ্দের ৩৭ শতাংশের বেশি।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিগত বছরগুলোয় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাছবিচার ছাড়াই বাড়ানো হয়েছিল ঋণের বোঝা। যার মাশুল গুনতে হচ্ছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ও অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,প্রকল্পের খরচ বাড়ানো হলেও প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়নি। করা হয়নি কোনো সুনির্দিষ্ট পরিবর্তনও। ফলে সেই প্রকল্প থেকে যে আয় হচ্ছে, তা দিয়ে অনেক সময় ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বিদেশি ঋণ নেয়া হয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা। আর আগের ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি।

অন্যদিকে, দেশের ব্যাংক থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে ২৬ হাজার কোটি টাকার বেশি শোধ হয়েছে। ঋণ গ্রহণের খরুচে খাত, সঞ্চয়পত্র থেকে এবার ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা তুলতে চায় সরকার।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপে আছে: আইএমএফ

অর্থ ব্যয়ে দূরদর্শী না হলে এসব ঋণের টাকা গলার কাটা হয়ে দাঁড়াবে বলে সতর্ক করছেন অর্থনীতিবিদরা। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক মুস্তফা কে. মুজেরী বলেন,

দেশের ঋণের বোঝা অনেক বেড়ে গেছে। তাই প্রকল্পগুলো থেকে আয় হচ্ছে, তার বড় একটি অংশ ব্যয় করতে হচ্ছে ঋণ পরিশোধে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বেছে বেছে প্রকল্প হাতে নিতে হবে। ঋণ নেয়া ও ব্যবহারেও সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে ঋণের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সেই অর্থ তুলে আবার পরিশোধ করা যায়।

চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ কম হওয়ায় বাজেট ঘাটতি পূরণে ঋণ করার ক্ষেত্রে আরও বেশি কৌশলী হওয়ার পরামর্শ তাদের।