নামে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা হলেও, নেই সেই মানের প্রতিষ্ঠান কিংবা পণ্যের সম্ভার। গুটি কয়েক বিদেশি প্রতিষ্ঠান থাকলেও সেখানেও বৈচিত্র্য নেই বললেই চলে। স্থানীয় পণ্যের আধিক্যে তাই বরাবরের মতো এবারের আয়োজন নিয়েও অসন্তোষ অনেক ক্রেতা-দর্শনার্থীর। আয়োজক সংস্থা ইপিবিও বলছে, ভালো মানের প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ কম। আগামীতে খাতভিত্তিক মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির।
পূর্বাচলে চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসর। এই মেলার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে অনেকেই বলছেন, শুধু নামেই আন্তর্জাতিক, পণ্য সম্ভারে নয়।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে, এবার মেলায় অংশ নেয়া ৩৬২টি স্টল-প্যাভিলিয়নের ৩৫১টিই দেশি প্রতিষ্ঠানের। এসব স্টলে যেসব পণ্য পাওয়া যাচ্ছে তার অধিকাংশই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত।
ক্রেতা-দর্শনার্থীরা বলেন, দুই-একটি স্টলে বিদেশি পণ্য থাকলেও বেশিরভাগই দেশি পণ্য। মূল্যছাড় আর অফার ছাড়া তেমন কিছুই নেই মেলায়।
বিদেশি স্টলেও বৈচিত্র্য নেই খুব একটা। অধিকাংশেই দেখা মিলছে জুতা, ব্যাগ, কার্পেট আর আলোক-বাতির মত সাধারণ পণ্যের। বিক্রেতারা পণ্য মানসম্মত দাবি করলেও কাঙ্খিত ক্রেতা না পাওয়ায় বিক্রি করছেন ছাড় দিয়ে। তারা বলেন, আশানুরূপ বেচাকেনা হচ্ছে না। ফলে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে বাড়তি ছাড় দিয়ে।
আয়োজক সংস্থা রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বলছে, মাসব্যাপী মেলা হওয়ায় ভালো মানের বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে অনিহা দেখায়। তাই মানের প্রশ্নে ছাড় না দিতে খাতভিত্তিক মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি।
ইপিবির পরিচালক (তথ্য) মাহমুদুল হাসান বলেন, দীর্ঘ ১মাসের মেলার কারণে অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠানই আসতে আগ্রহ দেখায় না। তাই আগামীতে বাংলাদেশের প্রধান প্রধান রফতানিযোগ্য খাতগুলো নিয়ে আলাদাভাবে মেলা করার কথা ভাবা হচ্ছে। এতে কমবে মেলার সময়কালও।
এবারের মেলায় বাংলাদেশ ছাড়া ভারত, পাকিস্তান, তুরস্কসহ বিদেশি ৭টি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। গত বছর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নিয়েছিল ৫টি দেশ। সময়।