News update
  • Govt welcomes Tarique Rahman’s return, assures full coop     |     
  • BNP strikes polls deal with 7 more partners, reserves 8 seats     |     
  • BRTA tops corruption list among public service offices: BBS     |     
  • Toll-free entry for vehicles via airport area expressway Thursday     |     
  • ‘Very unhealthy’ air quality persists in Dhaka     |     

একাদশে ভর্তির সম্ভাব্য তারিখ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্যাম্পাস 2024-05-13, 2:06pm

fdhdfhdfh-fcf8235bf0e7d3dc405d8540dc46e4861715587612.jpg




চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর একাদশে ভর্তির অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাবোর্ডগুলো আগামী দু’একদিনের মধ্যেই এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে। আর চলতি মাসের শেষের দিকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ২৬ তারিখ থেকে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। আর সেটা চলতে পারে ১১ জুন পর্যন্ত। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দু’একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা আরও জানিয়েছেন, ভর্তি তারিখ, ফিসহ আনুষ্ঠানিক নানা বিষয় চূড়ান্ত করতে আজ সোমবার (১৩ মে) বৈঠক করতে পারেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা। 

চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। এক লাখ ৮২ হাজার ১৩২ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ। পাস করা এসব শিক্ষার্থীর ভর্তির জন্য দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় একাদশ শ্রেণিতে আসন রয়েছে প্রায় ২৫ লাখ।

বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্যানুসারে, এসএসসিতে পাস করা সবাই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হলেও আট লাখ ২৭ হাজারের বেশি আসন ফাঁকা থাকবে। তবে এসব শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করা শিক্ষার্থীদের ভালো কলেজগুলোতে ভর্তির প্রতিযোগিতা হবে হাড্ডাহাড্ডি। ফলে ভর্তির ক্ষেত্রে মূল প্রতিযোগিতায় থাকবে ভালো পাঠদানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্র করে।

ব্যানবেইস আরও জানিয়েছে,  সারাদেশে একাদশ শ্রেণিতে আসন রয়েছে ২৫ লাখ। এর মধ্যে রাজধানীতেই রয়েছে ৫ লাখের বেশি আসন। এবার মাধ্যমিকে ১১টি বোর্ড মিলে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন।  দেশে মানসম্পন্ন ও ভালো কলেজ হিসেবে বিবেচিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দু’শতাধিক। এতে আসন আছে এক লাখের কাছাকাছি। এসব কলেজেই শিক্ষার্থীদের ভর্তির আগ্রহ বেশি। তবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ থাকে রাজধানীর দিকে। ঢাকায় মানসম্পন্ন কলেজের সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০টি। এগুলো ভর্তিতে তীব্র প্রতিযোগিতা হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

এবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ। শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, যশোর বোর্ডে পাসের হার সবচেয়ে বেশি ৯২.৩৩ শতাংশ। এ ছাড়া ঢাকায় ৮৯.৩২, রাজশাহীতে ৮৯.২৫, বরিশালে ৮৯.১৩, ময়মনসিংহে ৮৪.৯৭, চট্টগ্রামে ৮২.৮০, কুমিল্লায় ৭৯.২৩, দিনাজপুরে ৭৮.৪৩ এবং সিলেটে ৭৩.৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এ ছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে ৭৯.৬৬ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৮১.৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। ২০২৪ সালের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪৮ হাজার।

এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১২ মার্চ শেষ হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয় ২০ মার্চ। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিলের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৪ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২১ মার্চ শেষ হয়। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও ভোকেশনালের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১২ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২১ মার্চ শেষ হয়।

সারা দেশে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়। আর বিদেশের আট কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মগহামার করোনার পর এবারই প্রথম পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস, পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়মানুযায়ী, এবারো পরীক্ষা শেষ হওযার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হয়। সময় সংবাদ