News update
  • World War III to start with simultaneous Xi, Putin invasions?      |     
  • Election delay anti-democratic, against July-August spirit      |     
  • Bodies of 3 students recovered from two rivers in Rangpur     |     
  • BRICS Summit Opens Amid Tensions, Trump Tariff Fears     |     
  • Musk Launches 'America Party' in Fresh Split with Trump     |     

সম্মিলিত প্রয়াসে রানের পাহাড়ে অস্ট্রেলিয়া

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2024-06-09, 9:49am

fgdstsetet-600cd19db5ba5ae0836a48ef07386c791717904954.jpg




ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত প্রয়াসে ক্যারিবীয় দ্বীপে রানের পাহাড়ে চড়ে বসেছে অস্ট্রেলিয়া। সেই সুবাদে ১৭তম ম্যাচে এসে প্রথমবারের মতো দুইশো পেরোনো স্কোর দেখলো এবারের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও খালি হাতে ফেরেননি অস্ট্রেলীয় কোনো ব্যাটসম্যান। সাত ব্যাটসম্যানের ছোট ছোট কার্যকরী ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে শক্তিশালী ইংল্যান্ডের সামনে ২০২ রানের কঠিন লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে পরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়া।

টস জিতে কিংসটন ওভালের ব্যালেন্সড উইকেটে অনেকটা অনুমিতভাবেই প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। কিন্তু ইনিংসের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ান দুই ওপেনারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নাস্তানাবুদ ইংল্যান্ডের বোলাররা। এর মধ্যে সবচেয়ে আগ্রাসী ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। আজকের ম্যাচে ২৪৩ এর বেশি স্ট্রাইক রেট ছিল তার। তিন ছয় আর এক চার হাঁকিয়ে মার্ক উডের এক ওভারেই তোলেন ২২ রান।

রান তোলার গতিতে খুব একটা পিছিয়ে ছিলেন না ট্রাভিস হেডও। ১৯০ এর কাছাকাছি স্ট্রাইকরেটে রান তুলতে থাকেন এ ওপেনারও। দুজনের ঝড়ো গতির ব্যাটিংয়ে ৫ ওভার শেষ না হতেই অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ডে রান ৭০। ওভারপ্রতি গড় ১৪’রও বেশি। অবশেষে মইন আলীর ঘূর্ণিতে পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ওয়ার্নারের স্ট্যাম্প ভাঙলে ক্ষণিকের স্বস্তি আসে ইংল্যান্ড শিবিরে। পরের ওভারে চতুর্থ বলে ট্রাভিস হেডকেও বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরান পেসার জোফরা আর্চার। চারটি ছক্কা আর দুইটি চারের বদৌলতে মাত্র ১৬ বলে ৩৯ রান আসে ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে। অপরদিকে ১৮ বল খেলে ফিরে যাওয়ার আগে তিন ছয় আর দুই চারে ৩৪ রান করেন হেড।

দুই ব্যাটসম্যানের পতনেও অস্ট্রেলিয়ার রানের গতিতে লাগাম টানতে পারেননি ইংল্যান্ডের বোলাররা। ক্রিজে নেমেই প্রথাগত টি২০ মেজাজে রান তুলতে থাকেন মিচেল মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। মাত্র চার বলের ব্যবধানে দুই ওপেনার হারানোর প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন শক্ত হাতেই। ১৪তম ওভারের পঞ্চম বলে গিয়ে ভাঙে দুজনের ৪৯ বলে গড়া ৬৫ রানের জুটি। লিভিংস্টোনের বলে স্টাম্পড হওয়ার আগে দুই চার ও দুই ছয়ে ৩৫ রান করেন মার্শ। এতে তার বল খরচা হয় ২৫। তিন বল বাদেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ম্যাক্সওয়েলকে প্যাভিলিয়নে ফেরান আদিল রশিদ। অস্ট্রেলিয়ার স্কোর তখন ১৪.২ ওভারে ১৪১/৪।

এরপর এক ওভার ঘুরতেই ফের আঘাত লিভিংস্টোনের। ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে ফেরান টিম ডেভিডকে। ইংল্যান্ড শিবিরে তখন খুশির জোয়ার। হয়তো এবার বেঁধে ফেলা যাবে অস্ট্রেলিয়াকে। কিন্তু ইংল্যান্ডের সে আশার গুড়ে বালি ছড়িয়ে দেন মার্কাস স্টয়নিস। শেষদিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলের স্কোর ২০০ তে নিয়ে যান এ অলরাউন্ডার। ১০ বলে ১৭ রান করে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ম্যাথু ওয়েড। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে যখন স্টয়নিস ফিরে যাচ্ছিলেন প্যাভিলিয়নে তখন তার নামের পাশে ৩০ রান, যা আসে মাত্র ১৭ বলের বিনিময়ে।

শেষ দুই বলে মাত্র এক রানই যোগ হয় অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ডে, আর তাতে খরচা হয় প্যাট কামিন্সের উইকেট। কিন্তু ততক্ষণে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ আসরের প্রথম দ্বিশতক দেখে ফেলেছে ক্রিকেট বিশ্ব। আরটিভি