News update
  • AC Tabassum Urmi sacked over anti- govt Facebook posts     |     
  • Bangladeshi killed in BSF firing at Chuadanga border      |     
  • Rains Fuel Disasters in 83pc of Brazilian Cities: Report     |     
  • Hamas ready and serious to reach an accord if it ends war     |     
  • Paradise lost: Cox’s Bazar tourists shocked by wastes at sea     |     

মজুদ সক্ষমতা কমিয়ে এলপিজি নীতি চূড়ান্ত হওয়ার পথে

খবর 2021-06-20, 10:53am

Energy and Power virtual meeting-1f11f87cd6de6c35a6a19e20589fccef1624164836.jpg

Energy and Power virtual debate on LPG pricing: What next



অপারেটরদের মজুদ সক্ষমতা ৫০০০ টন থেকে কমিয়ে এলপিজি নীতির সংশোধনীর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। নতুন নীতিতে অপারেটরদের জন্য বিইআরসির লাইসেন্স ফি কমানো, বিপিসির রয়্যাটি বাতিলসহ নানা সংশোধনী আনা হয়েছে। এই সংশোধনী এখন জ্বালানি মন্ত্রী হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এই তথ্য জানিয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্তি সচিব আবুল মনসুর বলেন, ভোক্তার অধিকার রক্ষায় সরকার সব কিছু করতে প্রস্তুত, তবে ব্যবসায়িদের যৌক্তিক স্বার্থও সংরক্ষণ করা হবে। আজ শনিবার (জুন ১৯, ২০২১) এনার্জি এন্ড পাওয়ার আয়োজিত “ডিবেট অন এলপিজি প্রাইসিং : হোয়াট নেক্সট” শীর্ষক এক অন লাইন আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসাবে তিনি কথাগুলো বলেছেন।
ইপি সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেনের সঞ্চালন আজকের ইপি টকসে অপারেটদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) দাম নির্ধারণের উদ্যোগ ভালো। কিন্তু অপারেটরদের খরচ, বিনিয়োগের লাভ, পরিবেশক ও খুরচা বিক্রেতাদের লাভসহ ৭টি বিষয়ে খরচে তাদের হিসাব বিবেচনায় না নেয়ায় এলপিজির দাম নির্ধারণ বিইআরসির এক তরফা সিদ্ধান্ত হয়ে দাড়িয়েছে। এই দাবির বিপরীতে পেট্রোলিয়াম বিশেষজ্ঞরা তথ্য উপাত্তসহ বিষয়গুলো আগামী ৮ জুলাইয়ের গণ শুনানীতে তুলে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা এও বলেছেন, যৌক্তিক হলে তা গ্রহীত না হওয়ার কোনো কারণ নেই।
আবুল মনসুর বলেন, ১৩ প্রতিষ্ঠানের কাছে যাওয়ার বিষয়কে হয়রানি হিসাবে দেখলে চলবেনা। বরং ব্যবসা করতে হলে প্রচলিত আইন মেনেই করতে হবে। পরিবেশ, বিস্ফোরক, ফায়ার সার্ভিস বা স্থানীয় সরকারের অনুমতি ছাড়াও ব্যবসা চলবেনা। সরকার ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করার জন্যই ডিসটটেড বাজার চায়না। অপারেটরদের অযৌক্তিক মুনাফার কারণে বাজারে দাম বেড়ে যাবে তা কাংখিত নয়।
মূল প্রবন্ধে হেড অব সেলস বসুন্ধরা এলপিজি ইঞ্জি জাকারিয়া জালাল বলেন, ১২ কেজি সিলিন্ডারের দামে নির্ধারনের সময় সাতটি উপখাতে ১৪৮ টাকা কম গ্রহন করায় অপারেটরা বড় সংকটের মুখে পড়েছে। বিইআরসি এই বিষয়কে বিবেচনায় না নিলে এলপিজি খাতের চলমান সংকট আরো বৃদ্ধি পাবে। সরবরাহ ব্যবস্থাপও ঝুকির মুখে পড়তে পারে। ঝুকিতে পড়বে এই খাতের ৩২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ।
বিইআরসির পরামর্শক ও বিপিসির সাবেক পরিচালক বসিরুল হক বলেন, বিইআরসির দাম নির্ধারণের কারণে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দাম নির্ধারণে কোনো অসংগতি থাকলে তিনি তা নিয়ে অস্থির না হয়ে অপারেটরদের তাদের দাবির যৌক্তিকতা আগামী গণ শুননীতে তুলে ধরার পরামর্শ দেন।
বিইআরসির পরামর্শক ও বিপিসির আরেক সাবেক পরিচালক এ.এইচ.এম.এ মাজেদ রাহিমী বলেন, বিইআরসি প্রাপ্ত সকল খরচকে বিবেচনায় নিয়ে এলপিজির জন্য বিক্রি দাম নির্ধারণ করেছে। অপারেটরাই এই সকল তথ্য সরবরাহ করেছে। এখন বলা হচ্ছে হিসাবে গড়মিল আছে। কিন্তু তা সংশোধনেতো কোনো বাধা নেই। তাই অপারেটরদের আগামী গণ শুননীতে যথাযথ হিসাব উপস্থাপন করা উচিত।
এলপিজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডভান্স ইকুইপমেন্ট লিমিটেডের সিইও ইঞ্জি সাইদুল ইসলাম বলেন, বিইআরসি এখন পর্যন্ত পাবলিক সেক্টরের কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব বিবেচনা করে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে থাকে। ফলে মাসে মাসে এলপিজির দাম সমন্বয় করার দক্ষতায় তাদের ঘাটতি আছে। উচিত চার মাস পরপর এলপিজির দাম সমন্বয় করা।
জেএমআই ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক এবং হেড অব মার্কেটিং এন্ড সেলস সরদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অপারেটরা বাজারে প্রতিযোগিতামূলক দাম নিশ্চিত করতে পারার কারণেই ১ লাখ টন থেকে আজ এলপিজির বার্ষিক বাজার ১২ লাখ টনের। বিইআরসির বেধে দেওয়া অযৌক্তিক দামের ধারা অব্যাহত থাকলে বাজার বিকাশ বাধাগ্রস্থ হবে।
টিকে গ্রুপের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এলপিজির বাজার ইতিবাচক ধারায় এগুচ্ছে। কিন্তু সকল বিষয় বিবেচনায় না নিয়ে এককভাবে দাম নির্ধারণ করা হলে অপারেটর ও ভোক্তা উভয়ই দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির মুখে পড়বে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইঞ্জি খন্দকার আবদুস সালেক সূফি বলেন, চাহিদার চেয়ে সরবরাহ ক্ষমতা বেশি থাকা এলপিজি খাতের জন্য বড় সংকট। এর বাজার সম্প্রসারণে সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। এক ব্যবসার জন্য নানা অনুমতি নিতে ১৩ প্রতিষ্ঠানের কাছে যাওয়ার নিয়ম বন্ধ করতে হবে।ন ̈ নানা অনুমতি নিতে ১৩ প্রতিষ্ঠানের কাছে যাওয়ার নিয়ম বন্ধ করতে হবে। - প্রেস রিলিজ