দক্ষিণ কোরিয়ায় এক নতুন রাজনৈতিক যুগের সূচনা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে ইউন সং-নিয়োল ২০তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার মধ্য দিয়ে দেশটিতে পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত রক্ষণশীল সরকারের শাসনামল শুরু হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ যোগ দেন যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেকেন্ড জেন্টলম্যান ডগলাস এমহফ এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইয়াশি ইয়োশিমাসাও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
ইউনের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে উত্তর কোরিয়াকে সামাল দেয়া যারা নিজেদের পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে ত্বরান্বিত করে চলেছে। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আলোচনার সুযোগ আছে এবং উত্তর কোরিয়ার উপকৃত হবার পথও আছে।
ইউন বলেন, “উত্তর কোরিয়া যদি সত্যিকার অর্থে পুরোপুরি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের প্রক্রিয়া শুরু করে, তাহলে আমরা একটি সাহসী পরিকল্পনা উপস্থাপনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত যা উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দেশটির জনগণের জীবনকেও উন্নত করবে”।
ইউন অভ্যন্তরীণ নীতির প্রসঙ্গে বলেন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের উপর ভিত্তি করে অর্জিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ক্রমবর্ধমান মজুরি বৈষম্য’সহ অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধানে সহায়তা করার একটি উপায়।
নতুন প্রেসিডেন্ট কিছু নতুন পদক্ষেপও নিয়েছেন। ইউন প্রেসিডেন্টের দপ্তর ব্লু হাউস নামে পরিচিত কম্পাউন্ড থেকে একদা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যবহার করা একটি ভবনে স্থানান্তরিত করেছেন। তিনি বলেন, পদক্ষেপটি এটি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে যে তার কার্যালয়টি “রাজকীয় শক্তির প্রতীক” থেকে দূরে এবং জনসাধারণের কাছাকাছি অবস্থিত। তথ্য সূত্র: এনএইচকে ওয়াল্ড বাংলা।