News update
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     
  • Bangladesh rejects India’s advice; vows free, fair polls     |     
  • Hadi’s condition very critical: Singapore Foreign Minister     |     
  • Asia-Pacific hunger eases, Gaza pipeline fixed, Europe hit by flu     |     

আমদানিকারকদের অজুহাতে বাড়ে পেঁয়াজের দাম

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2024-10-28, 9:24am

images-59b514174bffe4ae402b3d63aad79fe01730085848.jpeg




হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও দাম নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে নেই স্বস্তি। হঠাৎ করে দাম বাড়ছে। এতে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ক্রেতা ও পাইকারদের কপালে। বন্দরের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও সুযোগ বুঝেই বিভিন্ন অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দেন আমদানিকারকরা।

রোববার (২৭ অক্টোবর) হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পেঁয়াজ দুদিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে বেড়েছে কেজিতে ৭ থেকে ৮ টাকা। আর টনে বেড়েছে ৮০০০ টাকা পর্যন্ত।

বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার সেলিম বলেন, ‘প্রতিদিন হিলি স্থলবন্দর থেকে দুই-চার গাড়ি পেঁয়াজ কিনে ঢাকা, গাজিপুর, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে থাকি। তবে পেঁয়াজের দাম নিয়ে অনেকটাই অস্থিরতা কাজ করে সবসময়। রোববার বন্দর থেকে সাউথ জাতের পেঁয়াজ কিনেছি ১০০ টাকা দরে ১৫ মেট্রিক টন ১৫ লাখ টাকা দিয়ে। তবে গতকাল থেকে আজকে ৫ টাকা দাম কমেছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) বন্দরে সাউথ জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১০৫ টাকা।  অথচ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিক্রি হয়েছিল ৯২ টাকা।’

আরেকজন পাইকার রনি বলেন, ‘আগে যেখানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে এক ট্রাক পেঁয়াজ কিনা যেত; এখন ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা লাগে। তাছাড়া দাম উর্ধ্বমুখী তো আছেই। আমদানিকারকরা বিভিন্ন অজুহাতে বাড়িয়ে দেন দাম।’

তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বন্দরে নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯০ টাকা, শনিবার ছিল ৯৭ টাকা। সেটা আজ রোববার বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা। একইভাবে ইন্দ্রজাতের পেঁয়াজ গতকাল ছিল ৮৮টাকা, সেটি আজকে ৮৫ টাকা। গতকাল নগরজাতের পেঁয়াজের দাম ছিল ১০২ টাকা আজকে ৯৩ টাকা। এভাবে যদি পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করে তাহলে তো ব্যবসার পুঁজি হারাতে হবে। প্রতি কেজিতে যদি ৫ টাকা বৃদ্ধি পায় তাহলে টনে বৃদ্ধি পায় ৫ হাজার টাকা।’

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে আমদানিকারক আব্দুল আল হেলাল বলেন, ‘চাহিদা থাকায় আমরা হিলি স্থল বন্দর দিয়ে নানা জাতের পেঁয়াজ আমদানি করছি। তবে ভারতের নাসিকসহ বিভিন্ন এলাকায় অতিবৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের অনেক ক্ষতি হয়েছে। যে কারণে ভারতের মুন্ডিতে দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। একই কারণে আমাদেরকেও বেশি দামি পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। যার কারণেই বন্দরে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

হেলাল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে পেঁয়াজের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও চাহিদামতো আমদানি করতে পারছি না আমরা। কারণ পেঁয়াজ ভারতের মুন্ডি থেকে বন্দরে আসতে ৫ থেকে ৭ দিন সময় লাগে। তাছাড়া বৈরী আবহাওয়া অতিরিক্ত গরমে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।’

হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহের গত দুই কর্মদিবসে ভারতীয় ৫৯ ট্রাকে আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৭২১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। তথ্য সূত্র সময় সংবাদ।