News update
  • Prof Yunus Calls for People-Centered Democracy in Bangladesh     |     
  • Record 676 Million Women Exposed to Deadly Conflicts     |     
  • UN Renews Push for Global Elimination of Nuclear Arms     |     
  • Don't leave healthcare to profit-driven actors: Prof Yunus     |     
  • Key issues that Prof Yunus may raise in UNGA speech Friday     |     

চড়া সবজির বাজার, মাছ-মুরগির খবর কি?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2025-09-26, 12:16pm

rfewrwerqw-29dca8f3b4ce4ececb53ea42ccdd580e1758867401.jpg




সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে ফের বেড়েছে শাক-সবজির দাম। ইলিশের দাম কেজিতে ১০০ টাকা কমলেও এখনও তা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে মুরগি ও অন্যান্য মাংসের দাম।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বৃষ্টি ও সরবারহ ঘাটতির অজুহাতে গত কয়েকমাস ধরেই অস্থির রাজধানীর সবজির দাম। মাঝে কিছুটা ওঠানামা করলেও চলতি সপ্তাহে ফের বেড়েছে দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা।

বেসরকারি চাকরিজীবী শফিক শুক্রবার বাজারে সবজি কিনতে এসে জানান, সবজির দাম ফের লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে। দেখার কেউ নেই। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা বাজার অস্থির করে তুলছে।

তবে বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বাজারে সবজির সরবারহ কমেছে। এতে কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতি বছর এই সময় সবজির দাম কিছুরা চড়া থাকে। কারণ এসময় গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালীন সবজির শেষের দিকে থাকে এবং শীতকালীন আগাম সবজি বাজারে আসতে শুরু করে।

বাজারঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতি কেজি ধুন্দল ৪০-৫০ টাকা, শসা ৫০-৮০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, ঝিঙে ৬০-৮০ টাকা, কহি ৫০-৬০ টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা, আমড়া ৬০ টাকা ও কচুর মুখি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি করলা ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ১২০-১৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মূলা ৮০ টাকা, পটোল ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, বেগুন ৮০-১০০ টাকা ও কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা।

আর প্রতি পিস লাউ ৬০-৭০ টাকা ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।

এদিকে, বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে মুরগি ও অন্যান্য মাংসের দাম। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা, লাল লেয়ার ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি সাদা কক ২৯০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৬০-৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের দামও। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩০ টাকা ও সাদা ডিম ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি ডজন হাঁস ও দেশি মুরগির ডিম যথাক্রমে ২২০-২৩০ ও ২৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে কেজিতে ১০০ টাকা কমেছে ইলিশের দাম। বর্তমানে ১ কেজি ওজনের ইলিশ ২১০০ টাকা, ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৭৫০-১৮৫০ টাকা, ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৫০০ টাকা ও দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ৩০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা আসিফ বলেন, ভরা মৌসুমেও রুপালি ইলিশ ২ হাজার টাকার ওপরে কিনতে হচ্ছে। এবার ২৫০০ টাকায়ও কিনেছি। এত দাম হলে এক সময় ইলিশ খাওয়াই বাদ দিতে হবে।

অন্যান্য মাছের দাম রয়েছে আগের মতোই চড়া। প্রতিকেজি বোয়াল ৭৫০-৯০০, কোরাল ৮০০-৮৫০, আইড় ৭০০-৮০০, চাষের রুই ৩৮০-৪৫০, কাতল ৪৫০, তেলাপিয়া ১৮০-২২০, পাঙাশ ১৮০-২৩৫ এবং পাবদা ও শিং ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চাষের ট্যাংরা ৭৫০-৮০০, কাঁচকি ৬৫০-৭০০ এবং মলা ৫০০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে কোনো বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। কারওয়ানবাজারের চাল ব্যবসায়ী রাকিব বলেন, ‘নতুন করে দাম বাড়েনি। তবে কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রতিকেজি মিনিকেট চাল ৮য-৮৫ টাকা, নাজিরশাইল ৮৫-৯২ টাকা ও মোটা চাল ৫৬-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’ সময় সংবাদ