পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ১১৭তম কংগ্রেসকে বর্ণ ও জাতিগতভাবে সর্বকালের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গবেষণায় দেখা যায় যে, মোট ১৮জন কংগ্রেস সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে জন্মগ্রহণ করেন এবং বিধিমতে দেশীয়করণের মাধ্যমে তারা নাগরিকত্ব পেয়েছেন।
পিউ এর তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি শপথ নিতে যাওয়া ১১৮তম কংগ্রেসেও অভিবাসীদের অনুপাত অপরিবর্তিত থাকবে। তবে সেই সংখ্যা ঐতিহাসিক সর্বোচ্চ সংখ্যার নিচেই রয়ে যাবে।
কিছু আসনের নির্বাচনী ফলাফল এখনও বাকি রয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের ১১৮তম কংগ্রেসে অন্তত ১৬জন বা ৩ শতাংশ সদস্য থাকবেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন করেন এবং পরবর্তীতে নাগরিকত্ব লাভ করেন। ১৮৮৭ থেকে ১৮৮৯ সালের ৫০তম কংগ্রেসে ৮% সদস্য ছিলেন, যারা বিদেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
পিউ এর ২০২১ সালের এক গবেষণার তথ্যমতে, বর্তমান কংগ্রেসে বিদেশে জন্মগ্রহণ করা আইনপ্রণেতাদের সংখ্যা কম। তবুও তাতে আরও অধিক সংখ্যক সদস্য রয়েছেন, যাদের পিতামাতার অন্তত একজন অন্য কোন দেশে জন্মগ্রহণ করেছেন। সব মিলিয়ে, অভিবাসী ও অভিবাসীদের সন্তানরা নতুন কংগ্রেসের অন্তত ১৪% পূরণ করবেন। এই হার, বিগত কংগ্রেসের (১৩%) তুলনায় সামান্য বেশি
পিউ হলো ওয়াশিংটনভিত্তিক একটি দলনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান, যারা যুক্তরাষ্ট্রের জনতাত্ত্বিক গঠন ও প্রবণতাগুলো বিশ্লেষণ করে।
গবেষণায় আরও দেখা যায় যে, ১১৭তম কংগ্রেসে বিদেশে জন্মগ্রহণকারী আইনপ্রণেতাদের ৩ শতাংশের অনুপাতটি, সার্বিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশে জন্মগ্রহণকারী জন্ম নেওয়া জনসংখ্যার অনুপাতের তুলনায় অনেকটা কম। পিউ এর মতে, ২০১৯ সালের তথ্যানুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ১৩.৬ শতাংশ বিদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন।
বর্তমানে, রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট মিলিয়ে মোট ১৮জন কংগ্রেস সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করেছেন। এই সদস্যদের জন্মস্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে কিউবা, ডমিনিকান রিপাবলিক, ইকুয়েডর, গুয়াতেমালা, জাপান, মেক্সিকো, ভারত, পোল্যান্ড, সোমালিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ইউক্রেন ও ভিয়েতনাম। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।