News update
  • NBR scramble to meet IMF conditions on revenue collection     |     
  • Gaza: UN rights office condemns Israeli buffer zone plan     |     
  • US tariffs move could see 3% fall in global trade: Top UN economist     |     
  • Myanmar Military strikes on amid earthquake response works     |     

কৈলাশটিলায় আরেকটি কূপে গ্যাসের সন্ধান

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জ্বালানী 2024-05-25, 6:20am

images-3-e962f83a5cc3dedb252a249ae4795aaf1716596484.jpeg




সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের নতুন একটি অনুসন্ধান কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। এ নিয়ে সাত মাসে সিলেটের চার কূপে মিলল নতুন গ্যাস। খননকাজ শুরুর সাড়ে চার মাসের মাথায় আজ শুক্রবার (২৪ মে) সকাল থেকে ফ্লো শুরু হয়েছে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

কর্মকর্তাদের মতে, গ্যাসের প্রেশার ঠিক থাকলে এই কূপ থেকে প্রতিদিন ১৮ থোকে ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। আগামী দুদিন এই পরীক্ষা চলমান থাকবে।

কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপ থেকে গ্যাসের সঙ্গে উপজাত হিসেবে কনডেনসেটও মিলবে। তবে প্রতি ঘনফুট গ্যাসের সঙ্গে কী পরিমাণ কনডেনসেট মিলবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই তা জানা যাবে।

সারা দেশে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে নতুন যেসব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় তার একটি এই কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপ।  এ কূপের খননকাজ শুরু হয় চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি। সাড়ে চার মাস সফলভাবে খননকাজ শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য গ্যাসের প্রেশারসহ অন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাসের মজুদের পরিমাণ জানাবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

এসজিএফএলের এই কূপটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে খনন করছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। কূপের মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে বিদ্যমান পাইপলাইন ও আড়াই কিলোমিটার দূরে ব্যবহারযোগ্য প্রসেস প্লান্ট রয়েছে। তাই দ্রুত এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব বলে জানান কর্মকর্তারা।

এসজিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, গত বছরের জানুয়ারি থেকে কৈলাশটিলার ৮ নং কূপে খননকাজ শুরু করে বাপেক্স। কূপের তিন হাজার ৪৪০ থেকে ৫৫ হাজার ফুট গভীরতায় গ্যাস পাওয়া গেছে। এখন দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরীক্ষামূলকভাবে উত্তোলন হচ্ছে। তিন মাসের মধ্যে পর্ণাঙ্গ উত্তোলন শুরু হবে।

সিলেটে গত বছর থেকেই কূপ অনুসন্ধান ও খননের কাজ চলমান রেখেছে এসজিএফএল কর্তৃপক্ষ। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের প্রথম দিকে কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপে খননকাজ শুরু হয়। প্রায় দেড়শ কোটি টাকা খরচে এই কূপ খনন করা হয়।

এসজিএফএলের উৎপাদনে থাকা কূপগুলো থেকে এখন প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারলে এই কোম্পানি থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত করা সম্ভব বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি এসজিএফএলের আওতাধীন রশিদপুরের ২নং কূপে গ্যাসের নতুন স্তরের সন্ধান মেলে। যার পরিমাণ প্রায় ১৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর দেশের সবচেয়ে পুরোনো গ্যাসক্ষেত্র হরিপুরের ১০ নম্বর কূপে নতুন গ্যাসের সন্ধান মেলে। খননকাজ শেষে ওই দিন গ্যাস প্রাপ্তির তথ্য নিশ্চিত করে এসজিএফএল।

গত বছরের জুনে এই কূপ খননকাজ শুরু হয়। ১৪৯ কোটি টাকায় সিলেট-১০ নম্বর কূপ খনন করে চীনা কোম্পানি সিনোপেক। কূপটিতে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে এসজিএফএল কর্তৃপক্ষ।

আর ২২ নভেম্বর সিলেটের কৈলাশটিলায় পরিত্যক্ত ২ নং কূপ থেকে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়। এখান থেকে দৈনিক ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।

সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৫৫ সালে। এরপর আবিষ্কার হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। বর্তমানে এসজিএফএলের আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। সেগুলো হলো হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশীদপুর গ্যাস ফিল্ড, ছাতক গ্যাস ফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড। এর মধ্যে ছাতক গ্যাস ফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর মধ্যে ১৪টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।

এসজিএফএলের আওতাধীন ১৪টি কূপ খনন ও পুনঃখননের কাজ চলছে। ২০২২ সালে এসজিএফএলের আওতাধীন সিলেট-৮, কৈলাশটিলা-৭ ও বিয়ানীবাজার-১ নামে তিনটি পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখনন করা হয়। এসব কূপ থেকে দৈনিক ১৬ থেকে ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। এনটিভি নিউজ।