News update
  • Hadi is no more, state mourning on Saturday: CA     |     
  • Bangladesh capital market falls; weekly turnover lowest     |     
  • Sharif Osman Hadi No More     |     
  • Tarique Rahman to Return Home With Daughter on Dec 25     |     
  • ILO praises Bangladesh’s labour reforms, new milestones     |     

সার্বিয়ার বিপক্ষে ভারমুক্ত হয়ে খেলতে চায় ব্রাজিল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ফুটবল 2022-11-23, 3:58pm




বরাবরের মত ফেবারিটের তকমা গায়ে লাগিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করতে যাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকান জায়ান্ট ব্রাজিল। সার্বিয়ার বিপক্ষে বৃহস্পতিবার  বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়  লুসাইল স্টেডিয়ামে ম্যাচ দিয়ে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা কাতারের যাত্রা শুরু করবে। তবে হেক্সা মিশনে ফেবারিটের মোড়কে চাপানো প্রত্যাশা থেকে বেড়িয়ে ভামুক্ত হয়ে ভাল খেলা উপহার দিতে চায় তিতে বাহিনী।

দলে রয়েছে একঝাঁক তরুণ প্রতিভা, কিছুটা হলেও সমস্যা এখানে রয়ে গেছে। কারন দলের ১৬ জন খেলোয়াড়েরই আগে কোন বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। দারুন প্রতিভাবান এই নতুন প্রজন্মকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রডরিগো, রাফিনহা, এডার মিলিটাও, বুনো গুইমারায়েস, এন্টনির মত তরুণ তুর্কিরা। ইউরোপ জুড়ে এলিট ক্লাবগুলোতে খেলে ইতোমধ্যেই যারা প্রতিভার পরীক্ষা শেষ করেছেন। 

এই তরুণদের সাথে দলের সুপারস্টার নেইমারের নামটা এমনিতেই চলে আসে। সবাই মিলে ২০১৮ সালের কোয়ার্টার ফাইনলে বেলজিয়ামের কাছে হারের পর থেকে এ পর্যন্ত ৫০ ম্যাচে ৩৭ টি জয় উপহার দিয়েছে ব্রাজিলকে। এই সময়ের মধ্যে ব্রাজিল কেবলমাত্র একটি আনুষ্ঠানিক ম্যাচে পরাজিত হয়েছে, ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালে চির প্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার কাছে সেলেসাওরা পরাজিত হয়েছিল। 

চার বছর আগেও গ্রুপ পর্বে এই সার্বিয়ার মোকাবেলা করেছিল ব্রাজিল, যেখানে সেলেসাওদের জয় ছিল ২-০ ব্যবধানে। 

১৯৩০ সালে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের পর সবকটি বাছাইপর্বের বাঁধা পেরিয়ে একমাত্র দল হিসেবে ব্রাজিল কাতারে খেলতে এসেছে। এবারের কনমেবল বাছাইর্বে ১৭ ম্যাচে ১৪ জয়সহ ৪৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে ব্রাজিল যা একটি রেকর্ড। বাছাইপর্বে কোন ম্যাচেই কেউ সেলেসাওদের পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। ১৯৯৮ সালে নরওয়ের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হবার পর এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে চূড়ান্ত পর্বে গ্রুপ ম্যাচে পরাজিত হয়নি ব্রাজিল। এনিয়ে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে টানা ১৫ ম্যাচে তারা অপরাজিত রয়েছে। 

যদিও ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর ২০ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো শিরোপা ঘরে নিতে পারেনি ব্রাজিল। বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল হিসেবে কাতারে খেলতে এসে তিতের উপর প্রত্যাশার পারদটাও তাই তুঙ্গে। টুর্ণামেন্টের আগেই ব্রাজিলকে নিয়ে বরাবরের মত যে ধরনের উত্তেজনা তৈরী হয়েছে তা মাঠের পারফরমেন্সের মাধ্যমে বাস্তবে রূপ দেয়াই এখন দলের মূল চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে চার বছর আগে বেলজিয়ামের বিপক্ষে শেষ আটের পরাজয় থেকে এবার আরো সামনে এগুতে বদ্ধপরিকর নেইমার, রডরিগো, ভিনিসিয়াসরা। 

সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ সাতটি ম্যাচে দাপুটে জয়ে ব্রাজিল এমনিতেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামবে। এই ম্যাচগুলোতে ২৬ গোল দেবার পাশাপাশি হজম করেছে মাত্র দুটি গোল। এর আগে সার্বিয়ার বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই জয়ী হয়েছে ব্রাজিল। দুটি ম্যাচের  কোনটিতেই ব্রাজিলের জালে বল প্রবেশ করাতে পারেনি সার্বিয়া। ১৯৯০ সালে স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর আগের তিন বিশ্বকাপেই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয়েছে সার্বিয়াকে। প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে নক আউট পর্বে খেলার স্বপ্ন নিয়েই কাতারে এসেছে সার্বিয়ানরা। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ২৫তম স্থানে থাকা ‘দ্য ঈগলস’ উয়েফা বাছাইপর্বে আট ম্যাচে ছয় জয় ও দুটিতে ড্র নিয়ে শীর্ষ দল হিসেবেই কাতারের টিকিট পেয়েছে। এর মধ্যে শেষ ম্যাচে পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল সার্বিয়া। বছরের শুরুতে ড্রাগান স্টোকোভিচের দল উয়েফা নেশন্স লিগের লিগ-এ’তে উন্নীত হবার কৃতিত্ব দেখায়। ছয় ম্যাচে তারা চারটিতে জয় ও দুটি ড্র করেছিল। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় শেষ ১৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে তারা মাত্র দুটিতে পরাজিত হয়েছে। 

ইউরোপীয়ান আসরের কৃতিত্ব এখন বৈশ্বিক সর্বোচ্চ মঞ্চে প্রমান করাই স্টোকোভিচের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ। এর আগে কখনই ব্রাজিলের মত টুর্নামেন্টের হট ফেবারিট দলের বিপক্ষে বিশ্বকাপ শুরু করেনি সার্বিয়া। যে কারনে ম্যাচের আগে মানসিক ভাবে চাঙ্গা থাকাটাও দলের জন্য এই মুহূর্তে খুবই জরুরী। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে শেষ ৯টি ম্যাচের সাতটিতেই পরাজিত হয়েছে সার্বিয়া। ইউরোপের কোন দেশ হিসেবে এটাই সর্বোচ্চ পরাজয়। এবারের বিশ্বকাপে খেলতে আসা দলগুলোর মধ্যে আট পরাজয়ে একমাত্র অস্ট্রেলিয়া তাদের থেকে এগিয়ে আছে। 

ব্রাজিল বস তিতে কালকের ম্যাচের জন্য পুরোপুরি ফিট একটি স্কোয়াড হাতে পাচ্ছেন। এন্টনি, গুইমারায়েস ও এ্যালেক্স টেলাস সামান্য সমস্যায় থাকলেও তা কাটিয়ে উঠেছেন। ৪-১-৪-১ অথবা ৪-২-৩-১ ফর্মেশনের যেকোন একটিতেই সেলেসাওরা খেলবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। অধিনায়ক থিয়াগো সিলভার সাথে রক্ষনভাগের তিন পজিশনে আরো থাকবেন ডানিলো, মারকুইনহোস ও এ্যালেক্স সান্দ্রো। লিভারপুলের এ্যালিসন বেকারই গোলবার সামলানোর দায়িত্ব পাচ্ছেন। কাসেমিরো ও লুকাস পাকুয়েটা সেন্টার-মিডফিল্ডে এগিয়ে রয়েছেন। রাফিনহা ও ভিনিসিয়াস জুনিয়রের সাথে উভয় উইংয়ে ১০ নম্বরের জায়গা পূরণ করবেন নেইমার। কাফ পেশীর ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা টটেনহ্যামের রিচারলিসনকে অবশ্য মূল একাদশে আর্সেনালের গ্যাব্রিয়েল জেসুসের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হতে পারে। 

এদিকে গোঁড়ালির ইনজুরি কাটিয়ে পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় বদলী বেঞ্চেই থাকার সম্ভাবনা বেশী সার্বিয়ান তারকা আলেক্সান্দান মিট্রোভিচের। এক্ষেত্রে আক্রমনভাগ সামলাবেন অপর দুই তারকা লুকা জোভিচ ও ডুসান ভ্লাহোভিচ। 

গত সপ্তাহে বাহরাইনের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে রক্ষনভাগে তিনজনকে রেখেছিলেন স্টোকোভিচ। ম্যাচটিতে সার্বিয়া ৫-১ গোলে জয়ী হয়েছে। সেন্টার-ব্যাকে স্ট্রাহিনা পাভলোভিচের সাথে দেখা যেতে পারে নিকোলা মিলেনকোভিচ ও স্টিফান মিট্রোভিচকে।  তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ