News update
  • 5mmcfd gas to be added to national grid from Kailashtila gas field     |     
  • ArmArmed Forces Day: Tarique's message draws on historic closeness     |     
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     
  • China calls for implementation roadmap for new finance goal     |     

বিয়ের পীড়িতে বসলেন সাফজয়ী নারী ফুটবলার আঁখি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ফুটবল 2025-02-10, 9:27am

ewrewrwer-ce786a34632e051a25f80d04c67389221739158046.jpg




আঁখি খাতুন একজন বাংলাদেশের মহিলা ফুটবল ডিফেন্ডার। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় আন্ডার-১৫ ফুটবল দলের জন্য খেলেছেন। এই নারী ফুটবলারের খেলা দেখতে ৪ বছর আগে চীন থেকে দেশে ফিরেছিলেন চীনের এইজ জি এ টেনিস ক্লাবের কোচ শরিফুল ইসলাম টিংকু। খেলা দেখতে এসে মাঠে পরিচয় হয় আঁখির সঙ্গে। ভালোলাগা থেকে শুরু হয় দুজনের প্রেম। অবশেষে প্রিয় মানুষকে জীবন সঙ্গী করতেই বিয়ের পীড়িতে বসলেন খেলোয়াড় আঁখি খাতুন।  

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে এভাবেই কথাগুলো বললেন আঁখির বাবা আক্তার হোসেন। তিনি জানান, দুজনের পছন্দের পরই গত শুক্রবার দুই পরিবারের সম্মতিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দ্বাবাড়িয়া এলাকায় আঁখি খাতুনের পিত্রালয়ে বিয়ের শুভ কাজটি সম্পন্ন হয়। 

আক্তার হোসেন আরও বলেন, আগামী ১১ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি তারা দুজন ঢাকায় যাবে। সেখান থেকে চীনে যাওয়ার কথা আছে। দাম্পত্য জীবনে সুখ শান্তির জন্য আমি তাদের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।  

জানা যায়, আঁখির স্বামী মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম টিংকু বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাবেক ছাত্র। তার বাড়ি রাজশাহীর রাজপাড়া এলাকায়। তিনি বর্তমানে চীনের এইজ জি এ টেনিস ক্লাবে কোচ হিসেবে কর্মরত। আর আঁখি খেলছেন চায়নার স্ককর ওয়ার্ড ক্লাবে। আঁখি খাতুন ২০১৭ সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের দলে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ভুটানের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে বাংলাদেশের জয়ের সেসময় তিনি দুটি গোল করেন এবং টুর্নামেন্টজুড়ে অসাধারণ অবদানের জন্য সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে টেলিভিশনের পর্দায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় আঁখি খাতুনের খেলা দেখে ভালো লেগে যায় চীনের লন টেনিস কোচ শরিফুল ইসলামের। ২০২১ সালে মাঠে বসে আঁখির খেলা দেখতে চীন থেকে দেশে আসেন তিনি। এক পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের যোগাযোগ চলতে থাকে। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে উভয়ের মধ্যে। দুজনই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিবারকে জানান। পরিবারের সম্মতিতে ৪ বছর পর বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন তারা। 

এর আগে, ২০২৩ সালে অনেক আলোচনা ও বিতর্কের মাঝে মায়ের অসুস্থতার কথা বলে বাফুফে ক্যাম্প ছাড়েন আঁখি। বাংলাদেশের হয়ে ১৮টি ম্যাচ খেলেছেন এই ডিফেন্ডার। 

বিয়ে প্রসঙ্গে আঁখি খাতুন বলেন, আমার খেলার অনেক বড় ভক্ত ছিল টিংকু। চার বছর আগে সুদূর চীন থেকে আমার খেলা দেখতে মাঠে হাজির হয়েছিল। সেটাই আমাকে অনেক বেশি আকৃষ্ট করেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে যোগাযোগের পর দিনদিন ঘনিষ্ঠতা বাড়ে আমাদের। এখন তো আমরা জীবনের বন্ধনে জড়িয়ে গেলাম। পছন্দের মানুষকে জীবন সঙ্গী হিসেবে পেয়ে খুশি হয়েছি, এটাই শুকরিয়া। 

তবে বিয়ের পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাটাও চালিয়ে যেতে যান আঁখি।আরটিভি