News update
  • Election delay anti-democratic, against July-August spirit      |     
  • Bodies of 3 students recovered from two rivers in Rangpur     |     
  • BRICS Summit Opens Amid Tensions, Trump Tariff Fears     |     
  • Musk Launches 'America Party' in Fresh Split with Trump     |     
  • Israel to send negotiators to Gaza talks     |     

বাণিজ্যিক ভবনে বাতির ব্যবহার কমাতে বলা হচ্ছে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিদ্যুৎ 2022-08-12, 10:55am

img_20220812_105340-a00a2af39de43f6ebf92c55543ff62ca1660280113.png




বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বিভিন্ন বড় শহরে সন্ধ্যার পর বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে গিয়ে সন্ধ্যা সাতটার পর লবিসহ ভবনের ভেতরে, বাইরে সাজানোর বাড়তি বাতি বন্ধ রাখতে বলছে বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থাগুলো।

কিছু ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক চালু রাখা লিফটের সংখ্যাও কমিয়ে ফেলতে বলা হচ্ছে।

ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড, ডেসকো এবং ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ডিপিডিসির কর্মকর্তারা শহরের দোকানপাট ছাড়াও ঢাকার বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে নানা ভবনে সন্ধ্যার পর এসে এই বিষয়ে ভবন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিচ্ছে।

দেশের অন্যান্য বড় শহরগুলোতেও বাণিজ্যিক ভবনের কর্তৃপক্ষকে একই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। বাণিজ্যিক ভবনে যা বলা হচ্ছে

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার গুলশানের একটি বাণিজ্যিক ভবনের তদারকির দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা বলছেন, "ওনারা সন্ধ্যার পরে এসেছিলেন। আমাদের লবিতে সেসময় বাতি জ্বলছিল। সন্ধ্যার পরে ভবনে ঢোকার পথে, সীমানা প্রাচীর এবং বাইরে বিল্ডিং-এর নানা অংশ সাজানোর জন্য আমরা বাতি জ্বালাই। আমাদেরকে বলা হয়েছে এসব বাড়তি বাতি না জালাতে।" সেসময় ঐ ভবনে তিনটি লিফট চালু ছিল। সন্ধ্যার পর লিফটের সংখ্যা কমিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।

ঢাকার বেশ কিছু এলাকা থেকে একই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে।

রেইনবো অপারেশন্স বিডি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ রেজওয়ানুল কবির বিবিসিকে বলেছেন, তাদের ভবনে সন্ধ্যা সাতটার পর বাতির সংখ্যা কমিয়ে ফেলতে মৌখিকভাবে বলে যাওয়া হয়েছে।

"আমরা সেই অনুযায়ী বাতির সংখ্যা কমিয়ে এনেছি। আমাদের লিফটগুলোকে স্লিপিং মোডে রাখা হচ্ছে। শুধুমাত্র বোতাম চাপা হলে সেগুলো চালু হয়।"

গত মাসের সাত তারিখ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সারা দেশে আলোকসজ্জা না করার নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ।

বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সারা দেশে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার, শপিং মল, দোকানপাট, অফিস ও বাসাবাড়িতে আলোকসজ্জা না করার নির্দেশ দেয়া হয়।

জুলাই মাসের ১৯ তারিখ থেকে সারাদেশে এলাকা ভিত্তিক এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।

যদিও বেশিরভাগ এলাকাতেই লোডশেডিং তার চেয়ে বেশি হচ্ছে। কোথাও কোথাও চার ঘণ্টার কথাও শোনা যাচ্ছে।  তবে এখন বাণিজ্যিক ভবনে লবিসহ ভেতরে বাইরে সাজানোর বাতিও কমিয়ে ফেলতে বলা হচ্ছে।

বড় ধরনের বিদ্যুৎ সংকট কাটিয়ে উঠতে দেশের সকল শিল্প কারখানায় এলাকা ভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন ছুটির দিন নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। আজই সেনিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

যা বলছে কর্তৃপক্ষ

আলোকসজ্জা বিষয়ক নির্দেশনা জারি করার আগে চলমান গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট কাটিয়ে উঠতে সম্ভাব্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আলোচনা হয়েছে।

দরকার হলে অফিস আদালতে করোনা মহামারি কালে গড়ে ওঠা হোম অফিস আবার চালু, শীততাপ যন্ত্রের ব্যাবহার নিয়ন্ত্রণ করা এবং সরকারি অফিস আদালতে দরকারে কাজের সময় কমিয়ে আনা এরকম বিষয় নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে।

দেশজুড়ে চলমান লোডশেডিং শীতকালের আগে শেষ হবে না বলেও সরকারের তরফ থেকে ধারনা দেয়া হয়েছে।

ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: কাউসার আমীর আলী বিবিসিকে বলেন, সন্ধ্যে সাতটা থেকে তাদের ভিজিলেন্স টিম বের হয়। তারা দেখে যে কোথাও বাড়তি আলোকসজ্জা আছে কিনা।

"কেউ না বুঝে করে ফেললে ওই আলোকসজ্জা আমরা বন্ধ করে দেই...কোথাও অতিরিক্ত লাইট জালানো থাকলে সেটার কথা বলা হচ্ছে। বাণিজ্যিক ভবনগুলোকে অনুরোধ করা হচ্ছে। তাদের বাধ্য করা হচ্ছে না। আমরা করিডোরের বাতির কথা বলছি না। বলছি বাড়তি বাতির কথা।" তথ্য সূত্র বিবিসি বাংলা।